কলকাতা : বিজেপির অন্যতম প্রধান আদিবাসী মুখ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করল NDA। NDA’র বাইরে হলেও, দ্রৌপদী মুর্মুকে কার্যত সমর্থনের ঘোষণা করেছে বিজেডি। রাইসিনার যুদ্ধে ভোটের অঙ্কের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি পদপ্রার্থী। এরই মধ্যে চাঞ্চল্য দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল, ওড়িশার প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ২০১৭ সালে প্রস্তাব করেছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু-সহ তিন জনের নাম তাঁরা প্রস্তাব করেন। তাঁরা হলেন, নাজমা হেপতুল্লা, দ্রৌপদী মুর্মু, প্রণব মুখোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়। সেই চিঠি এবিপি আনন্দ-র সামনেও রাখেন তিনি।
' আনন্দিত ' দ্রৌপদী
পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকে সশস্ত্র স্কোয়াড তাঁর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে। ৬৪ বছরের মুর্মু এই নিরাপত্তা পেতে খুশি। “আমি যেমন বিস্মিত তেমনই আনন্দিত। প্রত্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার একজন আদিবাসী মহিলা হিসাবে, আমি দেশের শীর্ষ পদের প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবিনি” মুর্মু মঙ্গলবার তাঁর রায়রংপুরের বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন। তিনি বলেন, এনডিএ সরকার দেশের শীর্ষ পদের জন্য একজন আদিবাসী মহিলাকে বেছে নিয়ে বিজেপির "সব কা সাথ, সব কা বিশ্বাস"-এর স্লোগানকে সত্য প্রমাণ করেছে।
NDA’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ৬৪ বছর বয়সী, দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বলেন, সমাজের সেবা, গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর গোটা জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রশাসনের অংশ এবং রাজ্যপাল হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আমি নিশ্চিত তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দারুণ কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিন্হা। মঙ্গলবার সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয় আঠারোটা বিরোধী দল। শরদ পাওয়ার, গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, ফারুক আবদুল্লা প্রার্থী হতে রাজি না হওয়ায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হিসাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিন্হার নাম উঠে আসে।