কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (JU Student Death) এবার নজরে ছাত্র নেতা (DSF Student Leader) অরিত্র মজুমদার। আগামীকাল অভ্যন্তরীণ কমিটি তলব করেছে তাঁকে। ডিএসএফের প্রভাবশালী ছাত্র নেতা বলে পরিচিত অরিত্রকে কাল বেলা ১১.৩০টায় তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটি ডিএসএফ নেতার কাছে জানতে চাইবে, 'র‍্যাগিংকাণ্ডে কীভাবে জড়িত? ক্যাম্পাসে কেন গরহাজির ছিলেন তিনি?'


কী জানা গেল?
আজ দুপুর দুটো নাগাদ এসএমএস করে তাঁকে এই খবর জানানো হয়েছে। গত কালও ই-মেল করা হয়েছিল। তবে অরিত্র দাবি করেছিলেন, তিনি কলকাতায় ছিলেন না। আপাতত তাঁকে বলা হয়েছে, আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টায় অবশ্যই অভ্যন্তরীণ কমিটির সামনে হাজির হতে হবে তাঁকে।  মূলত দুটি বিষয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এক, তাঁর অনুপস্থিতি। এই অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুক পোস্ট-সহ একাধিক জায়গায় অরিত্র দাবি করেছেন তিনি কলকাতায় ছিলেন না। কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত কাজে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন তিনি, জানাচ্ছেন অরিত্র। তাঁর আরও বক্তব্য, যে দিন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেই ৯ অগাস্ট গভীর রাতেই তিনি কলকাতা ছাড়েন। পৌঁছন দিল্লি। পরে জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছন। কিন্তু এসএফআইয়ের বক্তব্য, যে বিমানে অরিত্র কাশ্মীর গিয়েছিলেন বলে দাবি, সেটি বাতিল হয়েছিল। পাশাপাশি, আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। যে দিন অরিত্র কলকাতা ছাড়েন বলে শোনা যাচ্ছে, ঠিক তার পর দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে তাঁর সই পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা করছেন অরিত্র। সেই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের যে রেজিস্টার রয়েছে, সেখানে তাঁর সই পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। এটা কী ভাবে সম্ভব? সব মিলিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। 
তিনি অবশ্য দাবি করছেন, ঘটনার সময় কলকাতার বাইরে ছিলেন। কিন্তু বিভ্রান্তি বেড়েছে আরও একটি কারণে। ডিএসএফের প্রভাবশালী ছাত্রনেতা পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর পরই 'ফেটসু'-এর চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দেন। এতে আরও জোরালো হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, এমন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা এই ধরনের তোলপাড়ের সময় কেন কলকাতায় নেই? সব মিলিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদেরও রেডারে রয়েছেন অরিত্র মজুমদার। 
তবে আপাতত তাঁকে আগামীকাল তলব করেছে অভ্যন্তরীণ কমিটি।  


আরও পড়ুন:অশ্লীল ভাষায় কবিতা, দিন-রাত দৌরাত্ম্য! আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের