মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরে এবার দুয়ারে বিধায়ক। এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে শিবিরে বসে আবেদনপত্রে সই করলেন বিজেপি বিধায়ক ও কাউন্সিলর। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। মানুষকে সমস্যায় ফেলে কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি শাসকদলের।


দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের ধাঁচেই এবার দুয়ারে বিধায়ক। পার্থক্য একটাই, বিধায়ক তৃণমূলের নন, বিজেপির। আর তাই নিয়েই দুর্গাপুরে তুঙ্গে তরজা। সরকারি সূত্রে খবর, দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১০টি বুথের পিন কোড ছিল ৭১৩২১৮। সম্প্রতি সেই দশটি বুথের পিন কোড বদলে হয়েছে ৭১৩২১১। এর ফলে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডে পিন কোড নম্বর পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানাতে বিধায়ক ও কাউন্সিলরের সই বাধ্যতামূলক। 


সাধারণ মানুষের এই পরিষেবা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। রবিবার নডিহা এলাকায় শিবিরে বসে আবেদনপত্র-সহ সরকারি নথিতে সই করেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর। দুয়ারে বিধায়ককে পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। 


দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, বয়স হয়েছে। এভাবে বাড়ির কাছে পরিষেবা পেয়ে আমরা খুশি।


এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যে চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার ও দুয়ারে রেশন প্রকল্প। সেই ধাঁচেই এবার বিজেপি বিধায়ক দুয়ারে পরিষেবা শুরু করায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।


পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা বিজেপির খেলা। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পিন কোড পরিবর্তন করে মানুষকে সমস্যায় ফেলছে। যাতে মানুষ ওদের কাছে যায়।


যদিও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, তৃণমূলের দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকার ব্যর্থ। তাই আমরা দুয়ারে বিধায়ক চালু করেছি। কেউ যদি সমস্যার কথা বলেন, নথিতে সই করাতে চান তাহলে করে দিচ্ছি। আগের দিন প্রচার করে নিজে এসেছি।


যদিও রাজনীতির এই টানাপোড়েনে মন নেই সাধারণ মানুষের। তাঁরা চান, আগামীদিনেও এভাবে সমস্যার সমাধান হোক।