কলকাতা: আগামিকাল থেকে ফের শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে যুক্ত হল আরও নতুন পরিষেবা। আজ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন কাল থেকেই আবার দুয়ারে সরকার শুরু হবে রাজ্যে। এবারের লক্ষ্য বাংলায় শিল্পায়ন বৃদ্ধি। এর আগেও রাজ্যের প্রশাসনিক পর্যালোচনা (Mamata Banerjee বৈঠকে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) নিয়ে আরও ঘোষণা করেন তিনি। 


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। সংস্কৃতি-সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যত জিতব তত নম্র হতে হবে। আরও বেশি মানুষের কাজ করতে হবে। কাল থেকে আবার দুয়ারে সরকার চালু হচ্ছে। করোনা কমে গেলেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী দিনে শিল্পই আমার প্রধান লক্ষ্য।'


মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, 'দুয়ারে সরকার প্রথম পর্যায়ে যা করেছি, দ্বিতীয় পর্যায়ে আমাদের প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার ৪০২টি ক্যাম্পে মোট ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ মানুষ এসেছেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৮১ হাজার দরখাস্ত জমা পড়েছে। যার মধ্যে ২ কোটি  ৭৮ লক্ষ ৬৫ হাজার পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৬০-৬৫ হাজারের গ্যাপ রয়েছে। যা এবারের দুয়ারে সরকারে তা পূরণ করতে হবে। এছাড়াও এবারের দুয়ারে সরকারে প্রায় ১৮টি পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬টি নতুন।"  



  • কৃষি দফতরের কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড

  • ফিশারিজ দফতরের মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ড

  • এমএসএমই দফতরের আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড

  • তাঁতশিল্পীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড

  • পঞ্চায়েত দফতরের এসইচজি ক্রেডিট লিঙ্কেজ


এই নতুন পরিষেবাগুলি পাওয়া যাবে। আগামিকাল অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে দুয়ারে সরকার। এবারের দুয়ারে ক্যাম্পে মোট ২৪টি পরিষেবার জন্য আবেদন নেওয়া হবে। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান শুরু হয়েছে। 


এদিকে, রাজ্যে ফের শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। শুরু হয়েছে  ‘পাড়ায় সমাধান’-ও (Paray Samadhan)। গত বছরের বিধানসভা ভোটের আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন ও সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করে সরকার। ২০২০-তে  বাঁকুড়াতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি জানিয়েছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তাঁরা।