পূর্ব মেদিনীপুরঃ মহিষাদলের ঘাঘরা গ্রামে গুড়িয়া বাড়ির নবমী পুজোয় যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পদ্মফুল দিয়ে কুমারীকে পুজো করেন বিরোধী দলনেতা। যাবতীয় আচার- রীতি মেনেই পুজো করেন তিনি। প্রতি বছরই এই নির্দিষ্ট দিনটিতে এই পুজোয় উপস্থিত থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। 


গতকাল সকাল থেকেই অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে ভিড় করেছেন ভক্তরা। ফুল, বেলপাতা সহযোগে দেবীকে মনের ইচ্ছা জানাতে মণ্ডপে ভিড় আট থেকে আশির। অষ্টমীতে অঞ্জলি দিইয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালে কাঁথি নান্দনিকের পুজো মণ্ডপে দেবী দুর্গার অঞ্জলি দেন তিনি। 


উল্লেখ্য, গত চতুর্থীতে কাঁকুড়গাছিতে  নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার যে বেলেঘাটায় যে পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেখানেও গিয়েছিলেন শুভেন্দু। ২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিজেপি কর্মী অভিজিত্‍ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে।পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে।


গত ১৮ অগাষ্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায়, খুন-ধর্ষণ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে, রাজ্য পুলিশের ৩ কর্তাকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে এসআইটি গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায়  হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দেয় আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বলা হয়, ৬  সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়া ৩ আইপিএস অফিসার, সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশে এই সিট অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে।