প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: রাজ ঐতিহ্য বজায় রেখে সন্ধিপুজোয় আজও হয় তোপধ্বনি। সাড়ে চারশো বছরেরও বেশি পুরনো বাঁকুড়ার মালিয়াড়া রাজবাড়ির পুজো যেন এক আশ্চর্য মিলনমেলা। প্রতিদিন আশেপাশের গ্রামের মানুষজন রাজবাড়িতে পাত পেড়ে খান অন্ন ভোগ।


ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজোর আয়োজন: ছোপ পড়া দেওয়াল। শেওলা পড়া ছাদ। ঠাকুরদালান জুড়ে যেন কথা বলে উঠছে অতীত। নোনা ধরে যাওয়া ইটের পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস। জৌলুস হারালেও, বাঁকুড়ার মালিয়াড়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় খামতি নেই রীতিনীতি-উপাচারে। সাড়ে চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে মালিয়াড়া রাজবাড়িতে প্রতিপদ তিথিতে দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আগমনীর সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। মালিয়াড়া রাজবাড়ির সদস্য হিমাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রাধুর্য্য বলেন, “প্রতিপদ তিথিতেই দেবী আসেন মালিয়াড়া রাজবাড়িতে। অষ্টমীতে কামান দাগা হয়। নিয়ম মেনে হয় প্রতিদিন নিবেদন করা হয় ভোগ।’’


 





সিংহাসনে অধিষ্ঠিতা অষ্টধাতুর মূর্তি:
মালিয়াড়া রাজবাড়িতে রুপোর সিংহাসনে অধিষ্ঠিতা অষ্টধাতুর মূর্তি। সপ্তমী থেকে নবমী, ৩ দিন শাল কাঠ দিয়ে হয় হোম-যজ্ঞ। কথিত আছে, সম্রাট আকবরের আদেশে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ থেকে বাংলায় আসেন দেওধর চন্দ্রাধুর্য্য। তখন থেকেই অষ্টধাতুর মূর্তি তৈরি করে রাজ প্রাসাদের ঠাকুর দালানে পুজো শুরু হয়।এই রাজবাড়ির পুজোর সঙ্গে আজও জড়িয়ে আছে তোপধ্বনি। সেই শব্দ কানে গেলে তবেই আশপাশের গ্রামে শুরু হয় সন্ধিপুজো। জানালেন পরিবারের সদস্য হিমাদ্রি নারায়ণ চন্দ্রাধুর্য্য।


বৈষ্ণব মতে মহামায়ার আরাধনা, তাই প্রচলন নেই বলি প্রথার। হাতে লেখা প্রাচীন পুঁথি মেনে মালিয়াড়ার রাজবাড়িতে হয় দশভূজার অর্চনা। ষষ্ঠী থেকে প্রতিদিন হয় অন্নভোগ। কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে রাজত্ব। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাজপরিবারের সদস্যরা। সাবেকিয়ানাকে সঙ্গী করে প্রতি দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/news/durga-puja-2022-last-minute-preparation-for-durga-puja-tero-parbon-belgium-durga-puja-welcomes-maa-durga-922920" data-type="interlinkingkeywords">পুজোতেই গোটা পরিবারে যেন নতুন করে বাঁধা পড়ে একসূত্রে।


আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: ব্রাসেলসের আকাশে আগমনী সুর, মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতিতে 'তেরো পার্বণ'