নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :  চোরবাগানের চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এই পরিবারের দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/topic/vijayadashami" data-type="interlinkingkeywords">পুজো উত্তর কলকাতা অঞ্চলে বেশ প্রসিদ্ধ। মহাষষ্ঠীর রাতে বাড়ির বউরা মা-কে বরণ করে বেলবরণ প্রথা মারফত মায়ের পুজোর সূচনা করেন। বৃহন্নান্দীকেশ্বর মতে পুজো হয় এই বাড়িতে।  গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী। বাড়ির বউদের আল্পনা দেওয়া চৌকিতে অধিষ্ঠিত হন মা।


কথা বলে ইতিহাস
এই বাড়ির ছত্রে ছত্রে কথা বলে ইতিহাস। ঠাকুর দালানে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে এ বাড়ির রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা জাতীয়তাবোধ। দালানের দরজায় দরজায় লেখা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বন্দেমাতরম গানের লাইন। 


ষষ্ঠীতে বেলবরণ
পুজোর রীতি এখানে প্রতিবছর একই।  জানা যায়, আগে ষষ্ঠীতে বেলবরণের সময় বাইরের কেউই পুজোর দালানে প্রবেশ করতে পারতেন না। তবে এখন সেই রীতি পালন করা সম্ভব হয় না। 



সন্ধি পুজো



ভোগ রান্না
এ বাড়িতে  বাড়ির মেয়ের মতো করে দেখা হয় দেবীকে। তাই সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নান করানো হয় বাড়িতেই। পুজোর সব জোগাড় করেন বাড়ির মেয়েরাই। তবে ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকেন বাড়ির ছেলেরা। ভোগের ঘরে ঢোকার জন্য উপনয়ন হওয়া আবশ্যিক। 

পশুবলির রীতি এখন অতীত
এক সময় এ বাড়িতে পশুবলির রীতি ছিল । পরে পশুবলি উঠে যায়। মায়ের ভোগে নানারকম উপকরণের পাশাপাশি রোজই থাকে মাছ, আমিষ ভোগ। প্রায় প্রতিটি পুজোর মতোই খিচুড়ি , ভাত, পাঁচ ভাজা তো থাকেই সেই সঙ্গে থাকে নানাবিধ চাটনি ও মিষ্টির উপকরণ। সপ্তমী থেকে দশমী নানারকম মাছের পদ মা-কে নিবেদন করা হয়। 

বিদায় জানানোর রীতি 
দশমীতে স্বামীগৃহে মেয়েকে পাঠানোর আগে পরিবারের সদস্যরা মিলে একসঙ্গে গান ধরেন , ভজিতে তোমারে শিখি নাই কভু, ডাকি শুধু তোমায় মা বলে। সাধনার রীতি জানি নাকো নীতি, পুজি শুধু তোমায় আঁখি জলে।' এই গান গেয়ে মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পরিবারের সদস্যরা।