শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : মা দুর্গার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি প্রতিমার বিজয়া হবে আজ-কালের মধ্যেই। কিন্তু দুর্গা কৈলাসে প্রত্যাবর্তনের পর নতুন করে দেবীর আরাধনা শুরু হল কোচবিহারের গ্রামে।
একাদশীতে পুজো শুরু এখানে
দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পর ফের তার আরাধনা শুরু হল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় মা ভাণ্ডানী রূপে। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় একাদশীর দিন থেকে শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা ভাণ্ডানীর পুজো। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই পুজো করেন। অনেকেই বলেন দেবী দুর্গা যখন দশমীতে কৈলাসে ফিরছিলেন সেই সময় কয়েকজন কৃষক তাঁদের দুর্দশার কথা মাকে বলেন। এরপরে দেবী দুর্গা সেই কৃষকদের অভয় দেন এবং বলেন একাদশীর দিন তিনি আবার ফিরবেন এবং তাঁকে পুজো করলে কৃষকদের সমস্যা সমাধান হবে।
ভাণ্ডানী দেবীর পুজো শুরু
এর পরেই একাদশী থেকে দুর্গাকে ভাণ্ডানী দেবী হিসেবে পুজো শুরু করেন রাজবংশী সম্প্রদায়ের কৃষকরা। এই দেবীর আরাধনায় কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এমনটাই বিশ্বাস। জলপাইগুড়ি জেলার বার্নিশে এই পুজো দারুণ জমজমাট হলেও গত কয়েক বছরে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন অংশে বিশেষত মাথাভাঙ্গা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় দেবী ভাণ্ডানীর পুজো শুরু হয়েছে। মাথাভাঙ্গা এক নম্বর ব্লকের কেদার হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ভান্ডানী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তা এবার ১১৫ বছরে পড়ল। বোঝাই যাচ্ছে এই প্রথা কতদিনের।
দুর্গাপুজো শেষ হবার পর একাদশী থেকে শুরু হয় ভাণ্ডানী পুজো। উদ্যোক্তারা বলেন, প্রতিবছর বহু মানুষ উপস্থিত হন এখানে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে যায় গ্রামে-গ্রামে। কমিটির পক্ষ থেকে যেমন দুর্গাপুজো আয়োজন করা হয়, তেমনি একাদশীর দিন থেকেই দুর্গা প্রতিমার পাশেই ভাণ্ডানী দেবীর আরাধনা হয় যথাযথ রীতি মেনে। কোথাও দুদিন, কোথাও আবার তিনদিন চলে এই পুজো। রাজবংশী সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন দেবী ভাণ্ডানী।
আসছে বছর কোন মাসে দুর্গাপুজো। কবে সপ্তমী, কবেই বা হবে সন্ধিপুজো? জেনে নিন, ২০২৩ এর দুর্গাপুজোপুজোর নির্ঘণ্ট।
২০২৩ অর্থাৎ আগামী বছর অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে হবে মায়ের আগমন।
২০ অক্টোবর, ২০২৩ – মহাষষ্ঠী
২১ অক্টোবর, ২০২৩ – মহাসপ্তমী
২২ অক্টোবর, ২০২৩ – মহাষ্টমী
২৩ অক্টোবর, ২০২৩ – মহানবমী
২৪ অক্টোবর, ২০২৩ – মহাদশমী।