কলকাতা: আজ মহানবমী (Nabami)। না পোহায় যেন নবমী নিশি৷ বাংলার ঘরে ঘরে কাতর প্রার্থনা। শেষবেলার আনন্দটুকু চেটেপুটে নিতে ব্যস্ত উত্সবপ্রিয় বাঙালি৷ অন্যদিকে, নবমীর দিন হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি। বনেদি বাড়িতে প্রথা মেনে নবমীর বিশেষ পুজো হয়। কোথাও হোম, কোথাও হয় ফল বলি। পুজো শুরুর সময় যেমন সঙ্কল্প, তেমনই পুজো শেষের প্রক্রিয়া দক্ষিণান্ত। নানা উপাচারে দেবীর আরাধনা। নবমীতেও কুমারী পুজো হয়। এরই মাঝে বাঙালির প্রাণের উত্সবে বিষাদের সুর।


শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো: কলকাতার (Kolkata Bonedi Bari) বনেদি বাড়িগুলির অন্যতম শোভাবাজার রাজবাড়ির (Sovabazar Rajbari) পুজো । প্রথা মেনে নবমীতে হোম, বলি, আরতি, বিশেষ পুজো শুরু হয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়িতে অন্নভোগের প্রচলন নেই।তার পরিবর্তে চাল, কলা, দুধ, মিষ্টি আর সন্দেশ দিয়ে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। বলি দেওয়া হয় আখ, চালকুমড়ো, মাগুর মাছ। বলির পর আরতি। এরপর অঞ্জলি। বিকেলে মিছরি, জল ও মাখন দিয়ে দেবীকে শীতল ভোগ।  রাতে শুকনো মিষ্টি সহযোগে মিঠাই ভোগের আয়োজন । 


প্রবাসে পুজো: শুধু দেশেই নয়, প্রবাসেও পুজোর গন্ধ । বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ প্রবাসে ৷ তবু শরৎ আসলেই মন আনচান। রীতি-নীতি-উপাচার মেনে বিদেশে মাতৃ আরাধনা৷ বছরভর অপেক্ষার পর কয়েকটা দিন উত্সবের আনন্দ৷ ব্রিটেন থেকে আমেরিকা, সর্বত্র একই ছবি। অন্যদিকে গত ২ বছরের করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে এবার টেমসের পাড়ে ক্যামডেনের দুর্গাপুজো। পুজোর বয়স ৫৯। পরিবেশ দূষণ রুখতে এবারই প্রথম গ্রিন পুজোর ভাবনা। অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, হই-হুল্লোড়। পুজোর ৪টে দিন কার্যত, এক ছাতার তলায় চলে আসেন লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিদের একটা বড় অংশ। উত্তর কলকাতার এই পুজো এবার ১০৪ বছরে পা দিয়েছে। গতকাল রাতভর জনজোয়ারের পর, আজ সকালে নবমীর পুজো দেখতে বাগবাজার সর্বজনীনে মানুষের ঢল। 

আমেরিকাতে উমার আরাধনা: সাগরপারে বিলেত না একটুকরো বাংলা বোঝার উপায় নেই । ব্রিটেনের ব্রিস্টলেও চলছে মাতৃ আরাধনা । সুদূর আমেরিকাতেও চলছে উমার আরাধনা। সান ফ্রান্সিসকোয় আগমনী দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/district/howrah-news-durga-puja-in-belur-math-during-mahanabami-924833" data-type="interlinkingkeywords">পুজো কমিটির উদ্যোগে শারদোত্সবে মেতেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। এবার ৬ বছরে পা দিল সান ফ্রান্সিসকো বে-র এই পুজো।  


আরও পড়ুন: Belur Math: মহানবমীতে বেলুড় মঠে বিশেষ পূজার্চনা, অঞ্জলি শেষে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ