সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আজ ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। ঘট স্নান করিয়ে শারদোৎসবের সূচনা হল বেলুড় মঠে (Belur Math)। আজ রীতি মেনে ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ অনুষ্ঠান হয়। সন্ধেয় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান হবে। সকাল থেকেই ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন বেলুড় মঠের দেবী দর্শনে। 


শারদোৎসবের সূচনা: আজ ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। সপরিবারে উমার পিতৃগৃহে আগমনের দিন৷ বোধনের পর দেবীর অধিবাস৷ বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা৷ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা৷ সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে৷ শহরজুড়ে মহোত্সবের আবহ৷ উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি৷ ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উৎসব। 


বেলুড় মঠে পুজো আরম্ভ: বেলুড় মঠের রীতি অনুযায়ী ষষ্ঠীর সকালে মায়ের ঘাটে দেবী চন্ডীকার মঙ্গল ঘটে পবিত্র গঙ্গা জল নিয়ে এসে নবনির্মিত দেবী মৃন্ময়ী মূর্তির পাশে স্থাপন করা হয়। সকাল থেকেই শুরু হয় কল্পারম্ভের পুজো। এরই মাধ্যমে সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারীরা মাকে আহ্বান জানান বেলুড় মঠে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য। সন্ধেয় দেবীর অধিবাস ও আমন্ত্রণ। বলা যায় এরই মাধ্যমে পাঁচ দিনের বেলুড় মঠের মহাপুজার শুভ সূচনা হল।            


সপরিবারে মর্ত্যলোকে বাপের বাড়িতে এসেছেন দেবী। আটচালাতেই তাঁকে রাখা হয়। সেই মতোই দেবীর মণ্ডপে সেই সজ্জা রাখা হয়েছে বেলুড় মঠে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো (Durga Puja) অনুষ্ঠিত হয়। মূল মঠের পাশেই দেবীর মণ্ডপ। প্রতি বছরের মতো এবছরও সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর ক'টা দিন অগুণিত ভক্তদের ভিড়ে জমজমাট থাকে এই প্রাঙ্গন। ১৯০১ সালে  স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। সেই বছর থেকেই এই পুজোয় নিষ্ঠাভরে মানা হয় কিছু বিধি। এবছরও মঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে পুজোর নির্ঘণ্ট। মঠের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে যথাক্রমে ২১, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার, রবিবার এবং সোমবার বেলুড় মঠে দিব্য মা শ্রী শ্রী দুর্গার পুজো করা হবে।


আরও পড়ুন: Weather Update: মাটি হবে ঠাকুর দেখা? চিন্তা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা