কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ২০২১ এর পুজোর ( Durga Puja 2023 )  ঠিক পরপর। কালীপুজোর অমাবস্যার রাত আরও ঘন কালো হয়ে নেমে এসেছিল একডালিয়া এভারগ্রিনে ( Ekdalia Evergreen Durga Puja)। সেদিন প্রয়াত হয়েছিলেন প্রবীণ নেতা , একডালিয়া এভারগ্রিন পুজোর প্রাণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর সর্বেসর্বা ছিলেন তিনি। বোধন থেকে বিসর্জন, অষ্টমীর অঞ্জলি থেকে বিসর্জনের সিঁদুর খেলা, মধ্যমণি হয়ে থাকতেন তিনি। তাঁকে ছাড়াই ২০২২ এর পুজো করেছে একডালিয়া এভার গ্রিন।  


একডালিয়া প্রসিদ্ধ সাবেকিআনায়।  এবার ৮১ বছরে পা দিল।চিরকার সাবেকিপ্রথায় বিশ্বাসী একডালিয়া এভারগ্রিন। আর একডালিয়া মানেই সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। কিন্তু, এবার আর তিনি নেই। তাঁকে ছাড়াই পুজো। একডালিয়া এভারগ্রিনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মহাপাত্র জানালেন,  'রাজস্থানের জৈন মন্দিরের আদলে এবার প্যান্ডেল একডালিয়া এভারগ্রিনে। 
সুব্রতহীন একডালিয়ায় হয়ত সাজসজ্জা থেকে দর্শনার্থীদের ভিড়, কোনও কিছুতেই ঘাটতে হবে না । কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্থানটা শূন্যই রয়ে যাবে। 


 অন্যদিকে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের ( Naktala Udayan Sangha Durga Puja ) পুজোতেও এবার অনেকের নজর থাকবে। এই বছর সেই পুজোর মধ্যমণিও নেই।   রয়েছেন জেলে। গত ২৩ জুলাই, ২০২২, ১৯ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ED।  নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর মাথা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা ও সোনা উদ্ধারের পর থেকে বর্তমানে পুজো থেকে বহু দূরে জেলে রয়েছেন তিনি। ২০২২ সালেও নাকতলা ছিল পার্থহীন। কলকাতার অন্যতম সেরা এই  পুজোর কী অবস্থা?

নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর এবার ৩৯ তম বর্ষ। তাদের থিম হৃদয়পুর। মণ্ডপে পুরনো আলমারি-সহ ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের ছোট ছোট স্মৃতি। তার মধ্যেই মৃন্ময়ী মূর্তি। পুজো হচ্ছে আগের মতোই কিন্তু নেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়!
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে ছাড়াই হচ্ছে নাকতলার পুজো। এবারও বাজবে ঢাক। জেলের গরাদের পেছনেই থাকবেন পার্থ। তবে এবারই প্রথম সুরুচির পাশাপাশি নকতলার পুজোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।

 নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ দাশগুপ্ত জানালেন, 'পার্থদার রাজনৈতিকভাবে কী হয়েছে সেটার খোঁজ রাখি না। তিনি ছিলেন আছেন থাকবেন, অরূপদা এলাকার বিধায়ক হিসাবে দেখছেন '

আর অরূপ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ' টালিগঞ্জ বিধানসভায় ৩৪৫টা পুজো, আমি সবার সঙ্গে যুক্ত। সুরুচির পুজো আমার বাবা চালু করেছিল, এখন ভাই করে। সুরুচিরও কোনও পদে আমি নেই। আমি সবার।'