কলকাতা: কলকাতার বনেদি বাড়িগুলির অন্যতম শোভাবাজার রাজবাড়ির (Shobhabazar Rajbari) পুজো (Durga Puja 2023)। প্রথা মেনে নবমীতে হোম, আরতি, বিশেষ পুজো হয়। শোভাবাজার রাজবাড়িতে অন্নভোগের প্রচলন নেই। দেবীকে মিঠাই ভোগ নিবেদন করা হয়।                     

  


শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো: অষ্টমী পেরিয়ে নবমীতে প্রবেশ। হাতে আর মাত্র ২দিন ৷ তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-সর্বত্রই উত্সবের আনন্দের ঢেউয়ে গা ভাসাতে তৈরি সবাই।  বেলা বাড়তেই সঙ্গে সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে রঙিন জামা-কাপড়ে সাজা মানুষের ভিড়।  বড়দের হাত ধরে ভিড়ের মাঝে কচি-কাঁচারাও৷ শুধু তো ঠাকুর দেখা নয় সঙ্গে দেদার আড্ডা, খাওয়া দাওয়া৷ নবমী নিশি ফুরোলেই তো পুজো শেষ। তাই মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে তৈরি তিলোত্তমা ৷                                          


শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো হচ্ছে ২৬৭ বছর ধরে। সাবেকিয়ানা আর বনেদিয়ানার মেলবন্ধন এই পুজো। ঘরের মেয়ে রূপে পূজিতা উমাকে দেওয়া হয় মিষ্টি ভোগ। বরাবরের মতো এবারও মেদিনীপুর থেকে এসেছেন মিষ্টির কারিগরেরা। চাল, কলা দিয়ে নৈবেদ্য এবং দুধ, মিষ্টি, সন্দেশ দিয়ে দেবীকে মিঠাই ভোগ নিবেদন করা হয়। শোভাবাজার রাজবাড়িতেই ভিয়েন বসে। সেখানে ১০-১২ রকমের মিষ্টি তৈরি হয়। লাল মিষ্টি আর সাদা মিষ্টিই প্রধান। বিকেলে মিছরি, জল ও মাখন দিয়ে দেবীকে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। রাতে শুকনো মিষ্টি সহযোগে ফের মিঠাই ভোগের আয়োজন করা হয় শোভাবাজার রাজবাড়িতে।          


অন্যদিকে, বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়ির পুজোর বয়স ৩০৭ বছর। কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরীর হাত ধরে ১৭১৭ সালে এই পুজো শুরু হয়। এখানে পুজো হয় বিদ্যাপতি রচিত দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী মতে। এই মতে, অষ্টমী ও নবমীতে অপদেবতা ও উপদেবতাদের উদ্দেশে ‘মাসভক্তবলি’ পুজো হয়। মাসকলাই ঘি দিয়ে মেখে ১৮০টি খুড়িতে সাজিয়ে দেওয়া হয় নৈবেদ্য। নবমীর দিন কুমারী পুজো হয় সার্বণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়িতে। এদিন চালকুমড়ো ও আখ বলি দেওয়ারও প্রথা রয়েছে। 
 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: নবমীতে অসুর বৃষ্টি, দফায় দফায় বর্ষণ উত্তর ২৪ পরগনায়