দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরের মুখরোচক বাড়ি। এবার তৃতীয় বর্ষে পা দিল চন্দ্রবাড়ির এই পুজো (Durga Puja 2023)। রীতি মেনে আজ সকাল থেকে পুজোয় অংশ নিলেন পরিবারের সদস্যরা। হল পুষ্পাঞ্জলি। তারপর চলল আড্ডা-খাওয়া-দাওয়া। নবমীতে হবে কুমারী পুজো।
জমজমাট মুখরোচক বাড়ির দুর্গাপুজো: সারা বছরই সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত। এমনকি এদেশে থাকাও হয় না সবার। কিন্তু পুজোর কটা দিন একসঙ্গে হয়ে হই-হুল্লোড়। খাওয়া-দাওয়া, জমাটি আড্ডা আরও কত্ত কী। সে জন্য বিদেশ থেকেও ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সোনারপুরের গোবিন্দপুরে মুখরোচক বাড়ির দুর্গাপুজো এবার তৃতীয় বর্ষে পড়ল। মুখরোচকের কর্ণধার প্রণব চন্দ্র বলেন, “আমরা পুজোটাকে ঠিকমতো করি। আমাদের অনেকজন বাইরে থাকে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মহিলা-পুরুষ একই রঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে। পরিবারে ৭০ জন মতো সদস্য আছে। পুজোর কদিন সবাই একত্রিত হই।’’
অষ্টমীর সকাল সকাল দেখা গেল, পরিবারের সদস্যরা একে একে অঞ্জলি দিচ্ছেন। একদিকে রীতি মেনে পুজো, অন্যদিকে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া সবই চলছে জোরকদমে। মুখরোচক বাড়ির সদস্য প্রতীক চন্দ্র বলেন, “বাইরে থেকে সব পরিবারের সদস্যরা আসে। বন্ধুরা আসে। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া হয়।’’ মুখরোচক বাড়ির আরেক সদস্য সংহিতা চক্রবর্তী বলেন, “দশমীর দিন সিঁদুর খেলা, ঠাকুর বিসর্জন। নবমীতে কুমারী পুজো। আমরা সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করি।’’ নবমীর দিন মুখরোচক বাড়িতে কুমারী পুজো হয়।
থিম নেই, আছে সাবেকিয়ানা। আছে পরম্পরা, ঐতিহ্য৷ পুরনো রীতি মেনেই প্রতিবছর হয় উমাবরণ৷ ঠিক এমনই হল শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। ২৬৭ বছর ধরে মাতৃ আরাধনা হচ্ছে। সাবেকিয়ানা আর বনেদিয়ানার মেলবন্ধন এই পুজো। অষ্টমীতে তুমুল ব্যস্ততা। প্রথমে মহাস্নান, তারপর মায়ের আরতি, হোম। শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল নবঘট, নব পতাকা অর্থাৎ অষ্ট যোগিনীর পুজো। ৬৪টি থালায় নৈবেদ্য সাজিয়ে দেওয়া হয়। ঘরের মেয়ে রূপে পূজিতা উমাকে দেওয়া হয় মিষ্টি ভোগ। বরাবরের মতো এবারও মেদিনীপুর থেকে এসেছেন মিষ্টির কারিগরেরা। অষ্টমীর পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি থেকে দেবীকে ভোগ নিবেদন করার পর, সন্ধিপুজোর প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েন শোভাবাজার রাজবাড়ির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: বড়দেবী রূপে পূজিতা দুর্গা, মহা সমারোহে পুজোর আয়োজন কোচবিহারে