ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। মধ্য কলকাতার বরাবরের ক্রাউড পুলার পুজো। আর এই পুজোর বিশেষ পরিচিতি বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে।  গত বছর অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে আরও সাড়া ফেলে দিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। উদ্বোধনের দিন থেকেই আছড়ে পড়ে দর্শনার্থীর ঢেউ। আগাগোড়াই এই পুজোর মণ্ডল, লেজার আলো সবকিছু ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। আর এবার দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোর আগেই চিঠি পেলেন সজল ঘোষ। পুজো কমিটিকে একাধিক নিয়ম কানুন মানার নির্দেশ দিয়ে বিরাট একটা তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আর সেই ঘটনায় সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা। 


পুজো নিয়ে গতকালই পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে মিটিং করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক তার পরদিনই তাঁর সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের সম্পাদক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, গত ১৮ জুলাই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটিকে নোটিস দেয় মুচিপাড়া থানা। কী আছে সেই নোটিসে? আছে একগুচ্ছ নির্দেশ। লেজার লাইট না ব্যবহার করার নির্দেশ থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সিসিটিভি ইনস্টল করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও আগেভাগেই পুজোর থিম সম্পর্কে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই আপত্তি সজলের। 


পুজো নিয়ে গতকাল একগুচ্ছ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সজলের যুক্তি, এই বৈঠক হওয়ার আগেই কীভাবে নোটিস দেয় পুলিশ ?  তিনি জানান, এই নোটিসে রয়েছে , ভিড় সামলানো থেকে মেলার স্থান পরিবর্তন নিয়ে নির্দেশিকা। বিজেপি নেতার দাবি, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ছাড়া অন্য কোনও পুজো কমিটিকে নোটিস দেওয়া হয়নি। পুলিশকে ব্যবহার করে চক্রান্ত করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। 


সজলের পাল্টা যুক্তি দিয়েছে পুলিশ।  ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান,কলকাতার সব বড় পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশ রুটিন মাফিক এই কাজ করে থাকে। আর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার যেহেতু খুবই বড় মাপের পুজো । তাই তাঁদের প্য়ান্ডেল তৈরিও শুরু হয়ে যায় আগেভাগে। তাই খুঁটি পুজোর আগেই নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশগুলি জানানো হয়েছে পুজো কমিটিকে। আর এ সবকিছুই দর্শনার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই। ডিসি আরও জানান, পুজো কমিটির কোনও আপত্তি থাকলে থানার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে পারে। 


এরই মধ্যে উত্তর কলকাতার অন্য দুটি পুজো কাশী বোস লেন ও কুমোরটুলি পার্ক সর্বজনীনের সঙ্গে কথা বলেছিল এবিপি আনন্দ। তাঁরা এখনও এমন কোনও নোটিসই পাননি বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। 


সজলের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ ধর্মপালন করেন। তিনি বৈঠকে সুজিত বসুকেও পুজোর ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মঙ্গলবার। তিনি বলে ছিলেন, 'আমার আনন্দ যেন অন্যের অসুবিধের কারণ না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে '। নাম না করেই লেজার লাইটের ব্যবহার, ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন -


এই জেলাগুলিতে দিনভর দুর্যোগ, আবহাওয়া নিয়ে বড় বার্তা আবহাওয়া দফতরের 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে