শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : ধর্ম ও বিশ্বাসের সঙ্গে গত কয়েক বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মিশেছে কলকাতার পুজোয়। তার সঙ্গে এবার দেশপ্রেম মিশেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। এবার তাদের মণ্ডপ ভাবনায় উঠে এসেছে 'অপারেশন সিঁদুর।' মণ্ডপে পহেলগাঁওয়ের পাহাড় এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে অপারেশন সিঁদুর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তা দেখতে দশমীতেও কার্যত কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করছেন। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই শুধু নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেও আসছেন মানুষ। এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে আসছেন। কেউ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আসছেন, আবার সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও কেউ কেউ আসছেন অপারেশন সিঁদুর দেখতে। এদিকে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা নিরলসভাবে ভিড় সামাল দিয়ে চলেছেন। দশমীর রাতেও কার্যত ভিড় কমেনি এই পুজো মণ্ডপে। প্রবেশপথ থেকে মণ্ডপের দিকে নাগাড়ে এগিয়ে চলেছে জনস্রোত। মণ্ডপের ভিতরে গিয়ে দর্শনার্থীরা সাবেকি মাতৃ প্রতিমা দর্শন করছেন। আগামীকালও মণ্ডপ খোলা থাকবে। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের শো চলবে। তেমন মাতৃ প্রতিমা থাকবে। পরশুদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। 

Continues below advertisement

যাঁরা এখনও পর্যন্ত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ঠাকুর বা মণ্ডপ দেখেননি, মহানবমীর রাতে তাঁদের জন্য সুখবর দেন সজল ঘোষ। যিনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নেতাও। সজল বলেছেন, 'আমাদের প্রতিমার বিসর্জন আগামী ৪ তারিখ, দ্বাদশীর দিন। একাদশীর রাত অবধি সবটাই দর্শকদের জন্য থাকবে।' প্রথম যেদিন সোশাল মিডিয়ায় গোটা মণ্ডপের ট্রেলার পোস্ট করা হয়েছিল, সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল আলোচনা। তারপর একের পর এক বিতর্ক ঘিরে থেকেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের (Santosh Mitra Square) পুজোকে। কখনও রাজ্য সরকার থেকে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড বন্ধ করে দেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তারা। কখনও কালো কাপড় দিয়ে প্রতিমার মুখ ঢেকে দেওয়া বা অকাল নিরঞ্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করিয়ে আরও হইচই ফেলেছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। যাদের এবারের বিষয় ভাবনা - পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুর।

এবারের প্রথম দিন থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দেখতে জনতার ঢল। বুধবারও ডিসি সেন্ট্রালকে বারবার আসতে হয়েছে পরিস্থিতি দেখতে। যদিও সজলের খোঁচা, 'অকারণ ছোটাছুটি করছেন। চার মাস ধরে তো চেষ্টা করলেন, করে তো অঙ্কের খাতায় জিরো পেলেন। এখন ছোটাছুটি করে... যদি নিজেকে ফিট রাখতে চান আলাদা কথা। কোনও অতিরিক্ত লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না।'

Continues below advertisement