কলকাতা: কাশের বনে আজ মন খারাপের হাওয়া! রাত পোহালেই বিচ্ছেদের বিজয়া! তার আগে, মহানবমীতে চরম ব্যস্ততা জেলার বনেদি পুজোগুলোতে! রাজা ও রাজপাট না থাকলেও, আজও প্রাচীন রীতি মেনেই পূজিত হন কোচবিহারের বড়দেবী। 


৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পুজো। কথিত আছে, একসময় এই পুজোয় নরবলি হত। এখন মহানবমীতে পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হয়। কোচবিহারের বড়দেবী রক্তবর্ণা। বাহন চিতা বাঘ এবং সিংহ। অসুর সবুজ রঙের। দেবীর সঙ্গে ছেলেমেয়েরা থাকে না, থাকেন দুই সখী, জয়া ও বিজয়া।


কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির এই পুজো কয়েকশো বছরের পুরনো। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আমলের অনেক আগে থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। তবে তাঁর আমলে এই পুজো সর্বজনীন রূপ নেয় । মহালয়ার দিন যজ্ঞের মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। মহানবমিতে আয়োজন করা হয় হোম-যজ্ঞের।


মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো । রানী জানকীদেবী এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। প্রতিপদ থেকে এখানে শুরু হয় দেবীর আরাধনা।


পুরুলিয়ার কাশীপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ৪০০ বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল । ১৯১৬ সালে, কাশীপুরে রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন মহারাজ জ্যোতিপ্রসাদ সিংদেও। তখন, এখানে পুজো শুরু হয়। কাশীপুর রাজবাড়ির প্রতিমার বাঁ দিকে থাকেন গণেশ। বলি প্রথা থাকলেও, প্রায় কুড়ি বছর আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 


বিষ্ণুপুরের মল্লভূম রাজবাড়ির। পুজোর বয়স ১ হাজার ২৬ বছর। মল্লরাজা জগৎমল্ল এই দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজোর সূচনা করেন। রাজ পরিবারের নিজস্ব বলী নারায়ণী পুঁথি অনুসারে দেবীর পুজো হয়ে আসছে। কথিত আছে, শিকারে গিয়ে রাজা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। রাজধানী প্রদ্যুম্নপুর থেকে বিষ্ণুপুরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন দেবী। সেই নির্দেশ মেনে রাজা জগৎমল্ল জঙ্গল কেটে বিষ্ণুপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মৃন্ময়ীর মন্দির।


মল্লিক বাড়ির পুজো: মহানবমীর সকাল থেকেই চূড়ান্ত ব্যস্ততা ভবানীপুরের মল্লিকবাড়িতে৷ রয়েছে ভোগের আয়োজন। বাবা রঞ্জিত মল্লিক ও ছেলেকে নিয়ে পুজোর আনন্দে মেতেছেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক।  


বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়ির পুজোর বয়স ৩০৬ বছর। কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরীর হাত ধরে ১৭১৭ সালে এই পুজো শুরু হয়। নবমীর দিন কুমারী পুজো হয় সার্বণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়িতে। এদিন ফল বলিও হয়।