কলকাতা: ১০৪ বছরে পা দিল বাগবাজার (Bagbazar) সর্বজনীনের পুজো (Durga Pujo)। বর্তমান থিমের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে, বরাবরই সাবেকিয়ানাকেই সঙ্গী করে তারা। এবারও সাবেকি প্রতিমায় ডাকের সাজ বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোয়। উত্তর কলকাতার এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই পুজোর সূচনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, নলিনীরঞ্জন সরকার-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। সকাল থেকেই মানুষের ভিড় বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোয়।
পাশাপাশি লাঠি খেলার মাধ্যমে বাগবাজার সর্বজনীনে বীরাষ্টমী প্রথা পালন চলছে। পরাধীন দেশে লাঠি এবং তরোয়াল খেলার মাধ্যমে শরীরচর্চা করতেন বিপ্লবীরা। পরে তা মাতৃ আরাধনার অঙ্গ হয়ে যায়। সেই প্রথা মেনে বাগবাজার সর্বজনীনে এবারও মহাষ্টমীতে আয়োজন করা হয়েছে লাঠি খেলার।
আজ মহাষ্টমী৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় কুমারী পুজো৷ বেলুড় মঠেও থাকবে কুমারীপুজোর আয়োজন। এরপর মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, মাইকে স্তোত্রপাঠ৷ তাই শুনে শুনেই কারও বা মনে মনেই অঞ্জলি দেওয়া৷ দুপুর পেরোলেই সন্ধিপুজো। অষ্টমী পেরিয়ে নবমীতে প্রবেশ। হাতে আর মাত্র ২দিন৷ তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-সর্বত্রই উত্সবের আনন্দের ঢেউয়ে গা ভাসাতে তৈরি সবাই। বেলা বাড়তেই সঙ্গে সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে রঙিন জামা-কাপড়ে সাজা মানুষের ভিড়। বড়দের হাত ধরে ভিড়ের মাঝে কচি-কাঁচারাও৷ শুধু তো ঠাকুর দেখা নয় সঙ্গে দেদার আড্ডা, খাওয়া দাওয়া৷ নবমী নিশি ফুরোলেই তো পুজো শেষ। তাই মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্সবের সুরে ভাসতে তৈরি তিলোত্তমা৷
আরও পড়ুন, অষ্টমীর সকালে কুমারী পুজো শুরু বেলুড় মঠে
অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার আরেক জনপ্রিয় পুজো শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। ২৬৬ বছরে পা দিল শোভাবাজার রাজবাড়ির এই পুজো। পৌরাণিক ও বেদ মতে এখানে পূজিত হন মা দুর্গা। রীতি মেনে আজ সকালে দেবীর মহাস্নান হয়। তারপর শুরু হয়েছে অষ্টমীপুজো। শোভাবাজার রাজবাড়িতে জড়ো হয়েছেন আত্মীয়-পরিজনেরা৷ অষ্টমী পুজোর পাশাপাশি, শোভাবাজার রাজ পরিবারে চলছে ভোগরান্নার প্রস্তুতিও৷