সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দুর্গাপুজোর (Durgapuja) বাকি আর ১০০ দিন৷ গত ২ বছর করোনা ওলটপালট করে দিয়েছিল যে সব হিসেব-নিকেশ, তাকেই আবার নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার পালা। শিল্পীদের সেই পুরনো ব্যস্ততা পুজোর আঁতুড়ঘরে। বাংলার ঘরে ঘরে আবার আলো করে আসুক মা- এই প্রার্থনা নিয়েই আলোর বেণু বেজে ওঠার প্রহর গোণা শুরু।
আকাশজুড়ে এখন বর্ষামঙ্গল। বাদল বেলা শেষে আসবে শরত্ হেসে। ক্যালেন্ডার বলছে, দুর্গাপুজোর আর ঠিক ১০০ দিন বাকি। গত ২ বছর সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছ অতিমারি! বিধি মেনে উত্সব পালিত হয়েছে নমো নমো করে।
এ বছর যেন পুরনো মুডে ফেরা। হারানো সুর ফিরে পাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে পাড়ায় পাড়ায়। দুর্গাপুজোর আঁতুড়ঘুর কুমোরটুলি। বাঁশ-খড়ের কাঠামোর ওপর মাটির প্রলেপে একটু একটু করে জেগে উঠছেন মৃন্ময়ী মা। বর্ষা এসে যাওয়ায় প্লাস্টিকের আড়ালেই চলছে প্রস্তুতি। আরও ভাল করে মা-কে সাজিয়ে তুলতে হবে যে!
এরই মাঝে UNESCO-র Intangible Cultural Heritage তকমা পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো (Kolkata Durgapuja)। সব মিলিয়ে উত্সব ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন উন্মাদনা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর শোভাযাত্রা করে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে। চলছে তারও প্রস্তুতি।
মণ্ডপে মণ্ডপে একই ছবি। এতদিন শিল্পীরাও মুখিয়ে ছিলেন নিজেদের প্রমাণ করার জন্য। মণ্ডপ কর্মীরা এসে গিয়েছেন কলকাতায়। মাঠজুড়ে চলছে কাজ।
শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। হাতে আর মাত্র ১০০ দিন। তারপরই বেজে উঠবে বোধনের শঙ্খ। মঙ্গলময়ীর আরাধনার প্রস্তুতি ও উত্সবকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মশগুল আপামর বাঙালি। বছরের এই কটা দিনের দিকে তাকিয়েই তো সারা বছরের যাবতীয় উৎসাহ, পরিকল্পনা, প্রস্তুতি। বাঙালির কাছে আবার ফিরছে সেই পুজোর আনন্দ।