মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের প্রতারণার অভিযোগ। উঠেছে নীল বাতির গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বিদ্যুৎ পোদ্দার নামে জনৈক ব্যক্তি অনেকের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের।
বিদ্যুৎ পোদ্দার। কলকাতার কসবা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেকে কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের আমলা, আবার কখনও ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিতেন। কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বহু ছেলে-মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। সম্প্রতি দুর্গাপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
প্রতারিতদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ পোদ্দার নীলবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেন। নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ট্র্যাফিক ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় উপদেষ্টা বলে পরিচয় দিতেন। এর পাশাপাশি চা পাতার ব্যবসায়ী পরিচয়ও দিতেন। এই ব্যবসায় বহু বেকার ছেলে, মেয়ের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি। "চা সঙ্গ" নামে দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকায় একটি দফতর খোলেন তিনি। সেখানে কয়েকজনকে নিয়োগও করেন। উত্তরবঙ্গের কয়েকজন যুবককেও চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারিত করেন।
অভিযোগ, বিদ্যুৎ জানিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে চা পাতা এনে দুর্গাপুরে প্যাকিং করে বাজারজাত করা হবে। এই প্রোজেক্টে কাজ দেওয়ার নামে বেকার যুবকদের মোটা টাকার প্রলোভন দেওয়া হত। চাকরি দেওয়ার নামে বহু যুবকের কাছ থেকে প্রচুর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া নিজেকে প্রভাবশালী প্রমাণ করতে দেহরক্ষী নিয়ে নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করতেন। রয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে ছবিও। ঘটনায় দুর্গাপুরের এক মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর প্রকাশ্যে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। কখনো ভুয়ো আইএএসের পরিচয় দিয়ে তো কখনও অন্য পরিচয়ে একের পর এক সুবিধা নিয়েছেন দেবাঞ্জন। শুধু তাই নয়, তিনি নীলবাতি লাগানো নিয়েও ঘুরতেন বলে অভিযোগ ওঠে।