রাণা দাস, মঙ্গলকোট : মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বাড়ির সামনে বোমাবাজি (Bombing)। তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির বাড়ির সামনে বোমাবাজি। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ (Mangalkot Police Station)। দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই, দাবি তৃণমূলের জেলা সভাপতির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বিরোধীদের, দাবি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (Rabindranath Chatterjee)। কাটমানির ভাগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, পাল্টা বিজেপি (BJP)।
দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তৃণমূল নেতার
তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ সাতসকালে তাঁর বাড়ির সামনে হঠাৎই বোমাবাজি হয়। এলাকায় কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকায় তাঁদের ডেকে বিষয়টি তিনি দেখান বলেও জানান। পাশাপাশি শাসকদলেরই একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আঙুল তাঁর। বিজেপির পক্ষ থেকেও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেই নিশানা করা হয়েছে। কাটমানির ভাগ নিয়ে শাসকদলের বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে কটাক্ষ তাঁদের।
বিরোধীদের নিশানা তৃণমূলের
বিরোধীরা যেখানে তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে, সেখানে পাল্টা তাঁদের দিকেই অভিযোগের আঙুল শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ওই এলাকায় সিপিএম ও বিজেপি দুই দলেরই ভালই প্রভাব আছে। তারা কেউ অশান্তি পাকাতে করে থাকতেই পারে। তৃণমূল নেতা দলের দিকেই যে অভিযোগ তুলেছেন, সেই প্রসঙ্গে তাঁর পাল্টা ব্যাখ্যা, কেউ সরে গেলে আর এরকম ঘটনা কেন ঘটবে? পুলিশকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখতে বলব।
চলতি মাসের শুরু দিকেই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় আইএসএফ (ISF)-এর ছাত্র নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। বাড়ির সামনে থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধারও হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। অভিযোগ, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ আমডাঙার আড়খালি পূর্ব পাড়ায় ISF-এর ছাত্র নেতা জুলফিকর মণ্ডলের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। রাতে ঘটনাস্থলে যায় আমডাঙা থানার পুলিশ। গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আগেও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি ISF-এর ছাত্র নেতার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত আড়খালি পূর্ব পাড়া। হঠাৎ পরপর বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন- ‘তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব?’ আদালতের কাছে জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যর