কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ফের শ্যুট আউটের ঘটনা। পুরনো গাড়ি কেনাবেচা করা ব্যবসায়ীকে সাতসকালে বাড়িতে ঢুকে গুলি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এবার এই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডকোষে। সেখানে সাতসকালে গুলিবিদ্ধ হলেন গাড়ি কেনাবেচার এক ব্যবসায়ী। নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হতে হল সেই ব্যবসায়ীকে। সূত্রের খবর, এদিন নিজের বাড়িতেই ছিলেন গুলিবিদ্ধ সেই ব্য়বসায়ী। আহতের নাম অভিজিৎ রায়। তাঁর বাঁ কাঁধে গুলি লেগেছে। তাঁক তৎক্ষনাৎ স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 


পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো গাড়ি কেনার জন্য অভিজিৎকে দেড়লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয় মাধবডিহি থানার আলমপুরের বাসিন্দা বিকু শেখ। অভিজিতের পরিবারের দাবি, আর্থিক সমস্যা থাকায় গাড়ি কিনতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অ্যাডভান্সের ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন অভিজিৎ। আহতের বাড়ির লোকের অভিযোগ, বাকি টাকা নিতে আজ সকাল ৬টা নাগাদ বাইকে চড়ে অভিজিতের বাড়িতে আসে বিকু। এরপরই কথা কাটাকাটি ও বচসা শুরু হয়। তার মধ্যেই  অভিজিৎকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় সেই সেই দুষ্কৃতী। 


কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ায় শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার করার সময় লোডেড অবস্থায় ছিল পিস্তলটি। সকালে পিস্তলটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রাই। স্থানীয় বাসিন্দা অনন্ত শিট বলেন, “ওই যেখানে গাড়িটা দাঁড়িয়েছিল ওখান থেকেই পিস্তলটা পেয়েছে। কেউ বলছে ৬ রাউন্ড কেউ বলছে ৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।’’

যেখানে শুটআউটের ঘটনা ঘটে তার পাশেই একটি লোহার গেটে গুলির দাগ স্পষ্ট। বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্যসড়ক ধরে গাড়িতে ফিরছিলেন ছ'জন। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকায়, ওই গাড়ি লক্ষ্য করে, পরপর কয়েক রাউন্ড চালায় মোটরবাইকে আসা দুই দুষ্কৃতী। গুলিতে জখম হন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র সাধারণ সম্পাদক নুর মহম্মদ শাহ, এবং গলসি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী শেখ জিয়াবুল হক। কিন্তু হঠাৎ তাঁর স্বামীকে কেন গুলিবিদ্ধ হতে হল? চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। গুলিবিদ্ধের স্ত্রী ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, নমিতা শেখ বলেন, “হ্যাঁ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে। তৃণমূল তৃণমূলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে। প্রধান নিয়ে সমস্যাটা হয়েছিল। যেটা আমাকে বলেছিল প্রধান করব প্রধান করেনি তা নিয়ে আমাদের গোষ্ঠী একটা চলছিল।’’  তবে কি বাঁকুড়ায় শুটআউটের ঘটনার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক আছে? যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,“এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।’’