রানা দাস ও কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: স্টেশনের দিকে কী করতে গেছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী? সেখানে কারও সঙ্গে দেখা হয়েছিল? কেউ কি ছাত্রীর উপর কোনও বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করছিল? ৩২ মিনিটেই লুকিয়ে আছে সমস্ত রহস্য। কালনায় (Kalna Student Death) ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কালনায় ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু: ডাক্তার হয়ে মানুষের শরীরে ছুরি-কাঁচি চালানোর যাঁর স্বপ্ন ছিল, শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তাঁরই মৃতদেহ কাটাছেড়া করলেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার সন্ধে সাতটা দশ নাগাদ রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় কালনার বাসিন্দা মেধাবী ছাত্রী অঙ্গনা হালদারের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার ইংরেজি টিউশন নিতে গেছিল অঙ্গনা। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফিরতে কখনই কালনা স্টেশনের দিকে যাওয়ার কথা নয় তাঁর। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে স্টেশনের দিকে কী করতে গেছিলেন অঙ্গনা? সেখানে কি কারও সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর? কেউ কি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল সেখানে? কেউ কি এই ছাত্রীর ওপর কোনও বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করছিল? তদন্তকারীরা মনে করছেন, এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে ভেদ করতে হবে ৩২ মিনিটের রহস্য। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে কালনা স্টেশনের এই সিসিটিভি ফুটেজ। শুক্রবার সন্ধে ৬.৩৮ মিনিটে স্টেশনের ওভার ব্রিজের কাছে ইতস্তত ঘুরতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। একটু পর দেখা গেল, সিড়ি দিয়ে উঠে চলে যাচ্ছে সে।
অঙ্গনার মৃত্যু হল কী করে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে হবে পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনা ঘটে সন্ধে ৭টা ১০-এ। ঠিক তার ১৮ মিনিট আগে, ৬টা ৫২ মিনিটে শেষবার মা-কে ফোন করে অঙ্গনা। অর্থাৎ যা হওয়ার তা ঘটেছে সন্ধে ৬.৩৮ থেকে ৭.১০, এই ৩২ মিনিটের মাঝে। পরিবারের সদস্য থেকে এলাকাবাসী, এমনকী তাঁর শিক্ষক, সকলেরই দাবি আত্মঘাতী হওয়ার মতো মেয়ে নয় অঙ্গনা। নিহত ছাত্রীর শিক্ষক শম্ভু কর্মকার বলেন, "ও কখনই আত্মহত্যা করার মতো নয়। পড়াশোনায় খুব ভালছিল। আমার কাছে য়খন এসেছিল তখন কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।