পূর্ব বর্ধমান: গুজরাতের মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রাজ্যের এক বাসিন্দার। ওই তরুণ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বাসিন্দা। তিনি গুজরাতের মোরবিতে সোনার দোকানে কাজ করতেন। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রাতে পূর্বস্থলীর বাড়িতে ভাইপোর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর জানান তাঁর কাকা। তিনিও গুজরাতেই রয়েছেন।  পরিবার সূত্রে খবর, দেহ আমদাবাদ নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে বিমানে আনা হবে রাজ্যে। 


সেতু ভেঙে বিপর্যয়: গতকাল গুজরাতের মোরবি জেলার মচ্ছু নদীর ওপর সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনের দেহ সনাক্ত হয়েছে। গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুজরাতের তথ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছটপুজোর সন্ধেয় এই দুর্ঘটনার পরই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়েছে গুজরাত সরকার। গুজরাতে ভোটের আগে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে রাজনীতির পারদও চড়ছে। গুজরাত সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে আম আদমি পার্টি। আজ ঘটনাস্থলে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।


উদ্ধারকাজে স্থানীয়রা: বিপর্যয়ের পরই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক উদ্ধারকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি অভিষেক উপাধ্যায়।  গুজরাতের মোরবিতে মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ের পর চলছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, গুজরাত পুলিশের মেরিন টাস্ক ফোর্স, দমকল সহ বিভিন্ন বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে। শুধু মেরিন টাস্ক ফোর্সই নদী থেকে ১২০ জনকে উদ্ধার করেছে। 


কেন দুর্ঘটনা: গুজরাতের মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়ের পড়ার পর অভিযোগ উঠেছে, বেশি মুনাফার জন্য বহনক্ষমতার থেকে অনেক বেশি পর্যটককে টিকিট বিক্রি করা হয়। টিকিট কাউন্টার থেকে সোজা রাস্তা চলে গেছে কেবল-সেতু পর্যন্ত। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি। 


সেতু বিপর্যয়ের পর থেকে মোরবির হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সের ভিড়। কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ সনাক্ত করে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন আত্মীয়রা। হাসপাতালের সামনে মৃতের পরিজনদের হাহাকার। ঘটনাস্থল থেকে জানাচ্ছেন এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি।