রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান : বালি বোঝাই ডাম্পার (Sand Dumper) ধাওয়া করায়, পরিবহণ দফতরের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাল মাফিয়া। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘটনা। অল্পের জন্য রক্ষা পান পরিবহণ কর্মী ও পুলিশ কর্মীরা।


গতকাল রাতে পরিবহণ দফতরের (Transport Department) গাড়িতে অভিযানে বের হন ৩ পরিবহণ কর্মী ও ২ পুলিশ কর্মী। কালনা থেকে পূর্বস্থলী পর্যন্ত বালি বোঝাই ডাম্পার ধাওয়া করায়, গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। ৫-৬ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। গাড়ির সামনের কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যান সরকারি কর্মীরা (Governmenty Employee)। এই ঘটনায় এক ডাম্পার মালিককে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ (Purbashtali Police Station)। 


মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) হুঁশিয়ারি হোক বা প্রশাসনিক অভিযান, বালি মাফিয়ার (Sand Mafia) দৌরাত্ম্য চলছেই। মাসখানেক আগেই পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটে বৈধ ঘাটেই অজয় থেকে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে মাঝ নদী থেকে জল সহ বালি তুলে তা কিনারায় জড়ো করা হচ্ছে। দিনের আলোয় অবাধে বালিচুরি চলছে বলে অভিযোগও ওঠে।  


কয়েকদিন আগেই বালি পাচারের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলকোটের নতুনহাট বালিঘাট পরিদর্শনে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসনের বড় টিম। সেদিন অবশ্য কোনও পাচারকারীকে দেখা যায়নি। মাঝ অজয় থেকে যেখানে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তার কাছেই রয়েছে লোচনদা সেতু। শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখে সেতুর পিলারের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মঙ্গলকোট ব্লক অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গত বছরই নতুন ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি' ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরেও বন্ধ হয়নি বালিপাচার।                                              


কিছুদিন আগেই বালি তোলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। অভিযোগ, রাতে এই বালি গাড়িতে তুলে পাচার হয়। আর এভাবে নির্বিচারে বালি তুলে নেওয়ায় ভিটে-মাটি হারানোর ভয় পাচ্ছেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির দক্ষিণ আলতাগ্রামের বাসিন্দারা। শীতকালে জলঢাকায় জল নেই। ধূ-ধূ করছে বালি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অন্ধকার নামলেই বাড়ছে বালি মাফিয়ার আনাগোনা। নদী থেকে বেআইনিভাবে চলছে বালি তোলা। পাচারকারীদের বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বলেও অভিযোগ।


আরও পড়ুন- 'দিদির দূত'-এ মন্ত্রী, তাঁর সামনেই 'মারামারি' কর্মীদের