ঋত্বিক প্রধান, এগরা(পূর্ব মেদিনীপুর) : রাজ্যে পুরভোট জল্পনার মধ্যেই টক-টু-এমএলএ কর্মসূচি চালু করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের(East Medinipur) এগরার(Egra) তৃণমূল বিধায়ক। তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিধায়কও।
শিলিগুড়ির পর এবার এগরা। কলকাতা পুরসভার ‘টক টু কেএমসি’র ধাঁচে ‘টক-টু-এমএলএ’ কর্মসূচি নিলেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA)। পুরভোট জল্পনার আবহে এভাবেই জনসংযোগ শুরু করেছেন তৃণমূল বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি।
কেউ বার্ধক্য ভাতা, তো কেউ সমব্যথী প্রকল্পে আবেদন করেও টাকা না পাওয়ার কথা তুলে ধরছেন। সুরাহা বাতলে দিচ্ছেন বিধায়ক। এনিয়ে এগরার তৃণমূল বিধায়ক বললেন, যেখানকার যে প্রবলেম আসবে, সঙ্গে সঙ্গে সেটা যেন নিতে পারি এবং তা পারসু করতে পারি। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাইরে বেরোতে পারেন না, এমএলএ-র কাছে পৌঁছতে পারেন না। সেই জন্য একটা দুটো ফোন নম্বর দিয়ে প্রচুর প্রচার করেছি, যাতে তাঁরা ফোন করে অভাব অভিযোগের কথা জানাতে পারেন। আমি যাতে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি, পরিষেবা প্রদান করতে পারি।
বিধায়কের এই উদ্যোগ বাহবা কুড়িয়েছে স্থানীয়দের। এগরার স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন জানা বলেন, এলাকার বিধায়ক গরিব মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। আগে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলা যেত না। এখন সম্ভব হচ্ছে। খুব ভাল উদ্যোগ।
এদিকে তৃণমূল বিধায়ক টক-টু-এমএলএ(Talk to MLA) পরিষেবা চালু করতেই কটাক্ষ এসেছে গেরুয়া শিবির থেকে।
বিজেপি-র কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীমকুমার মিশ্র বলেন, দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন করেছেন। আবার লোক দেখাতে টক-টু-এমএলএ করছেন। এগুলো না করে আপনাদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বলুন আবাস যোজনার বাড়িতে দুর্নীতি না করতে, কাজে স্বজনপোষণ না করতে। তবেই আপনাদের জনসংযোগ হতে পারে।
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি বা স্বজনপোষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০১৯ সালে জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছিল তৃণমূল। কলকাতা পুরসভায় শুরু হয় ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি। পরে যার নাম হয় ‘টক টু কেএমসি’। সেই ধাঁচে সম্প্রতি শিলিগুড়িতে শুরু হয়েছে ‘টক টু চেয়ারম্যান’। এবার সেই রাস্তায় হাঁটলেন শাসক দলের বিধায়ক।