ঋত্বিক প্রধান, বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: কাল রাজ্যের একশো আটটি পুরসভায় ভোট। তার আগে বহিরাগত ইস্যুতে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। একে অপরকে দুষে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। অন্যদিকে, এগরা পুরসভার একটি ওয়ার্ডে সময়সীমা ফুরনোর পরেও গভীর রাতে প্রচার ও টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়েও শুরু হয়েছে দু’পক্ষের দোষারোপ।


 পুরভোটের মুখে তেতে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে এগরার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গভীর রাতে এই গাড়িটিকে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীদের একাংশের। গাড়ির সামনে উইন্ডস্ক্রিনে বোর্ডে লেখা, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, পটাশপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। গাড়ির সামনে বনেটে লাগানো মুখ্যমন্ত্রীর স্টিকার। 



স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের মুখে খবর পেয়ে গাড়িটিকে ঘিরে চড়াও হন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের মুখে পড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন পটাশপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাহেদ আলি। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির তল্লাশিও নেওয়া হয়। বহু বাকবিতণ্ডার পর এলাকা ছাড়েন তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর সঙ্গী।  


বিজেপির অভিযোগ, বাইক বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের হুমকি দিচ্ছিলেন তৃণমূলের ওই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সম্পাদক তাপস কুমার দলুই বলেন, ''রাত একটার পরে তৃণমূলের জেহাদি বাহিনী নিয়ে ভোটারদের ধমকানি চমকানি দিচ্ছিলেন। গাড়ির ভিতরে মদরে বোতল, মদের পেটি। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।''


কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, ''আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন কর্মাধ্যক্ষ। সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন। মাঝরাতে বিজেপি সেখানে গিয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীকালে পুলিশ যায়। খতিয়ে দেখে। কিছুই পায়নি।''


এগরায় যখন এই ছবি, তখন শুক্রবার রাতে তমলুক পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের এই আশ্বাসের মধ্যেই বহিরাগত ইস্যুতে একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এলাকার গেস্ট হাউস ও নার্সিংহোমগুলিতে বহিরাগতদের জড়ো করেছে তৃণমূল। 


পুরভোটে গণ্ডগোলের আশঙ্কা প্রকাশ করে মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছে বিজেপি।  বিজেপি কেন জেলা পার্টি অফিস প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে, এই প্রশ্ন তুলে ভোট সন্ত্রাস ইস্যুতে পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল।