বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : বড়দিনে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে বিপত্তি। বন্ধুকে মারধর করে উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীকে জোর করে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এরপরেই প্রাণ বাঁচাতে মোটরবাইক থেকে ঝাঁপ দেয় ওই কিশোরী। অসুস্থ ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।


বড়দিনে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে বিপত্তি


জানা গিয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে, বন্ধুর সঙ্গে দাঁডিয়ে গল্প করছিল ওই ছাত্রী। ঠিক সেই সময়েই বন্ধুকে মারধর করে জোর করে ওই কিশোরীকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।  নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল চন্ডীপুর এলাকার এক কিশোরী টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর সে তার এক বন্ধুর সাথে নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত রেলপ্রকল্পের নির্জন জায়গায় যায়। সেখানে গল্প করতে করতে সন্ধ্যে হয়ে যায়। ঠিক সেইসময় মদ্যপ কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা দুজনকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কুরুচিকর মন্তব্য করে। বন্ধুটি প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারধর করে একপ্রকার জোর করেই মেয়েটিকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।


প্রাণ বাঁচাতে মোটরবাইক থেকে ঝাঁপ দেয় ওই কিশোরী


কিছুটা যাওয়ার পর মেয়েটি মোটরসাইকেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিচে পড়ে যায়। তখন চিৎকার করতে থাকে মেয়েটি। সেই সময় উলটো পথ দিয়ে কয়েকজন আসছিলেন। তারাই মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে এনে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তী করেন । খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ বন্ধু কিশোরকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করেছেন। আজকে দুপুরে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। মেয়েটি এখন নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।


আরও পড়ুন, স্বামীজিকে নিয়ে সুকান্তর মন্তব্যের জের, শাহ সফরের মধ্যেই আন্দোলনে যুব তৃণমূল


কিশোরীর পরিবার ক্যামেরার সাথে কিছু বলতে রাজি হয়নি


তবে ছেলেটির বয়ান সঠিক কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মেয়েটি একটু সুস্থ হলে তারও বয়ান রেকর্ড করে যুবকের বয়ানের সাথে মিলিয়ে দেখবে  পুলিশ। তবে এই নিয়ে আক্রান্ত কিশোরীর পরিবার ক্যামেরার সাথে কিছু বলতে রাজি হয়নি। আর এই ঘটনা সামনে আসায় তা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ গোটা রাজ্যজুড়ে যেভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে,  নন্দীগ্রামও তার ব্যাতিক্রম নয়। পালটা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির।