ঋত্বিক প্রধান, মেদিনীপুর: সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর, শৌলা, পেটুয়া ঘাটের মতন মৎস্য বন্দরগুলোর পরিকাঠামো। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন জেলার মৎস্যজীবীরা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই অবস্থা, অভিযোগ দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী।
পলিতে আটকে যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার: ড্রেজিং না হওয়ায় যখন তখন পলিতে আটকে যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। যেকোনও মূহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা! অন্যদিকে বন্দরে যাওয়ার রাস্তা থেকে পিচের আস্তরণ উঠে বেরিয়ে পড়েছে কঙ্কাল। বেহাল অবস্থা জেটিঘাটের গার্ডওয়ালেরও! এই ছবি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্যবন্দর পূর্ব মেদিনীপুরের পেটুয়াঘাটের। সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ার কারণে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ৬১ দিন পর সমুদ্রে মাছ ধরা শুরুর মুখেই ধাক্কা! মৎস্যবন্দরের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে সরব হলেন মৎস্যজীবীরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পেটুয়াঘাটের এক মৎসজীবী বলেন, “বন্দরে যাওয়ার রাস্তা খারাপ। যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জিনিসপত্র বয়ে আনতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।’’ মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, শুধু পেটুয়াঘাটই নয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশা দিঘা, শঙ্করপুর, জুনপুট মৎস্যবন্দরেরও। পাশাপাশি বন্দরঘাটে বরফকলের সবকটি ইউনিট কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছে দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স। দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “ড্রেজিং না করায় বন্দরে ট্রলারগুলি যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। পেটুয়া ঘাট মৎস্যবন্দরে বরফকলের ইউনিটগুলি সবকটি কাজ করছে না। চিনের সঙ্গে এক্সপোর্টের সমস্যা। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় খরচ কমাতে বায়ো ডিজেল প্রকল্প তৈরি করা হোক।’’
বন্দরের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে মৎস্য দফতর। দেশপ্রাণ ফিশিং হাবের মৎস্য আধিকারিক অরিন্দম সেনগুপ্ত আমরা এখনও পর্যন্ত বরফের দুটো ইউনিট চালু করতে পেরেছি। বন্দরের ভিতরে পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ অর্থ এলেই কাজ শুরু হবে। রাস্তা ঠিক করার জন্য জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। দ্রুত কাজ শুরুর আবেদন করেছি। এই পরিস্থিতিতে ড্রেজিং সহ বাকি সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: School Online Class: ২৬ জুন পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা, অনলাইনের পথে বেসরকারি স্কুলের একাংশ