পূর্ব মেদিনীপুর: পাঁশকুড়ায় (Panskura) মিড ডে (Midday Meal) মিলে টিকটিকির পর এবার অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের (School) খিচুড়িতে মিলল শুঁয়োপোকা। পাঁশকুড়া পুরসভার নারান্দার আইসিডিএস স্কুলের খিচুড়িতে শুঁয়োপোকা পাওয়ার অভিযোগে তুলকালাম। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ।


মূলত, গত মাসের শেষে মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে ৮ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরপর  বিকাশ ভবনে বৈঠক সারেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে ইতিমধ্যেই এসেছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও মিড ডে মিলের মধ্য়ে মিলেছে সাপ। কোথাও ড্রামে পাওয়া গেছে মরা ইঁদুর। কোথাও খিচুড়ির মধ্য়ে টিকটিকি মেলার অভিযোগ। আর ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে ২৯ জানুয়ারি রাজ্য়ে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।  মিড মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে ? রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে ? যে টাকা  স্কুলগুলিতে বরাদ্দ হচ্ছে, তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে ? মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন ? রান্নাঘরের কী অবস্থা ? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না ? খাবার পরীক্ষা হয় কিনা ? ৮ দিনে ৮ জেলার ৩০টি স্কুলে  রাজ্য় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে, তারা খতিয়ে দেখেন। 


সম্প্রতি মিড মিলের ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যুগ যুগ থেকে মিড মিলের টাকা লুঠ হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কেন্দ্রকে যা দেখানো হয়, তার থেকে কম পড়ুয়া মিড ডে মিল-র সুবিধা পায়।' সম্প্রতি,  কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিঁচুড়িতে মিলেছিল আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ ওঠে। খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। আর এবার অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের খিচুড়িতে মিলল শুঁয়োপোকা। 


আরও পড়ুন, '২০১৪-র প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বড় ভূমিকা তাপসের', দাবি CBI-র


রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।'