বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) তমলুকে সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরির টোপ দিয়ে দলেরই নেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরতের আশায় থানায় ছুটেছেন অভিযোগকারী শাসক-নেতা। এর মধ্য়ে বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছেন অভিযুক্ত। পাল্টা তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, জেলে গিয়েছেন একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়ক। এর মধ্যেই এবার সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতার। অভিযোগকারীও তৃণমূলের নেতা, শাসকদলেরই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। নন্দকুমার ব্লকের বরগোদারগোদা গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি মধুসূদন ভঞ্জ ও গোপাল মাইতির।
মধুসূদন বরগোদারগোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। আর গোপাল মাইতি তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক এবং তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, ২০১৯-এ সমবায় ব্যাঙ্কে (Cooperative Bank) গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য তিনি দলেরই নেতা তথা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল মাইতিকে ১২ লক্ষ টাকা দেন। চাকরি তো হয়ইনি, টাকাও ফেরত পাননি বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের আরও দাবি, পরীক্ষার সময় তাঁকে সাদা খাতা জমা দিতে বলা হয়। অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা মধুসূদন ভঞ্জ বলছেন, আমাকে অ্যাডমিট দিয়েছে। আমাকে পরীক্ষায়ও বসিয়েছে। পরীক্ষায় উনিই আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কোনও কিছু লেখার দরকার নেই। ওই রোল নম্বর আর নামটা লিখে সাদা কাগজ জমা দিয়ে আসবে। ওঁর কথামতো সেগুলোও করেছি। পরে আমার লিস্টে নামও আসেনি।
চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। উল্টে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাসের কথায়, তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক, বেকার ছেলে বিপথে চালিত হয়েছে তার কাছ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
চাকরি নয়, টাকা ফেরত পেতে, দলের নেতার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপ, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।