বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: থ্যালাসেমিয়ায় (Thalasemia) আক্রান্ত রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ উঠেছে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Panskura Super Speciality Hospital) বিরুদ্ধে। ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছেন হাসপাতাল সুপার।
জন্ম থেকেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ১০ বছরের ছেলেটা! এক মাস ছাড়া ছাড়া রক্ত দিতে হয়। সেই কিশোরকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারির হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Panskura Super Speciality Hospital)। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আবহে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে তাকে রক্ত দেওয়া হত।
মঙ্গলবার রক্ত নেওয়ার জন্য ছেলেকে নিয়ে সেখানে যান বাবা-মা। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই দিন এক ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়।অভিযোগ, রোগীর হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা না করেই চিকিৎসক জানান, পরের দিন আরও এক ইউনিট রক্ত দিতে হবে। সেই মতো, বুধবার আরও এক ইউনিট রক্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন শিশু বিভাগের অধিকাংশ রোগীর বেড বদলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, রক্ত নেওয়ার পর একজন নার্স তাকে পরপর দু’টি ইঞ্জেকশন দিয়ে যান।
এরপরই বমি করতে শুরু করে কিশোর। তাঁর মায়ের অভিযোগ, কেন ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নার্স জানায়নি। এরপরই ছেলে বমি করতে শুরু করে। শরীর জ্বালা করতে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। ওই দিন রাতেই নিজস্ব বন্ডে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাই।
এরপর হাসপাতাল সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানান রোগীর বাবা। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছে। আমি দেখা করতে চাইলেও হাসপাতাল সুপার আমাকে সময় দেননি। তাই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। হাসপাতাল সুপার অবশ্য ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় দাসের দাবি, রক্ত দেওয়ার সময় যে কোনও ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আটকাতে অনেক সময় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ওই রোগীকে কোনও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশন করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে রোগী কিছুটা ভাল আছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।