পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঋত্বিক প্রধান ও বিটন চক্রবর্তী, ভূপতিনগর, (পূর্ব মেদিনীপুর): পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগর (Bhupatinagar) বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনের। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল থেকে অনেকটা দূরে পৃথক পৃথক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মৃতদেহ। তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেধেছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল? আর কেউ আহত কিংবা মারা গেছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar)! মৃত্যু হল তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি ও দুই তৃণমূল কর্মীর! কিন্তু, রহস্যজনকভাবে পৃথক পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার হল দেহ! শনিবার বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তৃণমূল কর্মী লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত ৩ জনের শরীরেই ঝলসে যাওয়ার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তৃণমূল (TMC) নেতা-সহ ৩ জনের মৃতদেহ বিস্ফোরণস্থল থেকে এতদূরে পৌঁছল? বিস্ফোরণে আর কারও মৃত্যু কিংবা কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাত ১১টায় বিস্ফোরণ হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে। মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সকাল ১০টায় সিভিক ভলান্টিয়ার যায় এলাকায়। অভিযোগ, তারপর থেকে আর পুলিশের দেখা মেলেনি!
যে কোনও বিস্ফোরণের তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এদিন সকাল থেকে ঘটনাস্থল ছিল কার্যত অরক্ষিত! শেষ পর্যন্ত বেলা ৩.১৫ নাগাদ, দেখা মেলে পুলিশের।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার ASI-এর সাফাই, সিনিয়র অফিসার আসবে, ফরেন্সিক আসবে সভায়, অভিষেকের সভা আছে, সব পুলিশ গেছে। দিনের শেষে বড় প্রশ্ন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তৃণমূল নেতার বাড়িতে? বোমা বাধতে গিয়ে এত বড় বিস্ফোরণ? না কি নেপথ্যে কোনও কারণ? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও ২ তৃণমূল কর্মীর দেহের আজই ময়নাতদন্ত হবে। কী কারণে বিস্ফোরণ, তা জানতে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহে আসতে পারেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে, শুক্রবার রাতে ভূপতিনগরের নাড়ুয়া বিরলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতা ও দুই তৃণমূল কর্মী লালু মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের ঝলসানো দেহ। রহস্য বাড়িয়ে তিনটি মৃতদেহ মেলে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে। বিস্ফোরণের কারণ ও নেপথ্যে কারা রয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।