বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর): তেরো বছর পর, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে বড় কোনও কর্মসূচি করল ডিওয়াইএফআই। সিপিএমের যুব সংগঠনের সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, তাদের আটকাতে বামেদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল। শাসক দলের পাল্টা দাবি, বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে বামেদেরই।
১৩ বছর পর বদলাল ছবিটা। ২০০৭-এর জমি আন্দোলনের পর থেকে, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে সে অর্থে বড় কোনও কর্মসূচি করতে পারেনি সিপিএমের যুব সংগঠনের ডিওয়াইএফআই। শনিবার সেখানেই রমরমিয়ে হল লোকাল কমিটির সম্মেলন।
২০১৬ থেকে নন্দীগ্রামে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বামেরা।২০১৬-এর ভোটে নন্দীগ্রামে বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৬.৭০ শতাংশ ভোট।৩ বছর পর লোকসভা নির্বাচনে, নন্দীগ্রামে ভোট নেমে যায় ৪.৫২ শতাংশে।এবার বিধানসভা ভোটে আরও কমে বামেদের ভোট নেমে আসে ২.৭৪ শতাশে।
ডিওয়াইএফআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়ক বলেছেন,সবাই বুঝেছে বেকারদের জন্য় যদি কেউ লড়ে তাহলে সেটা ডিওয়াইএফআই। যুবরা নতুন করে একত্রিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, কেমিক্যাল হাব না হওয়ায় বেকারদের ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে গেছে।
সিপিএমের যুব সংগঠনের কর্মসূচির নেপথ্যে তৃণমূলের মদত দেখছে বিজেপি। পাল্টা শাসক দলের দাবি, বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করেছে বামেরাই।বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূল সিপিএমকে সুযোগ করে দিচ্ছে, অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপিকে রোখার জন্য। তৃণমূল বিজেপির ভূত দেখছে।
নন্দীগ্রাম (১)-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাস বলেছেন, বামপন্থীরা নন্দীগ্রামে শেষ হয়েছে তা বোঝা গেছে লোকসভা ভোটে। বামেরা রামের ঝান্ডা ধরেছে। সারা বাংলায় প্রমাণ হয়েছে বামপন্থীরা কাদের ঝান্ডা ধরছে। শুভেন্দু অধিকারী যে মিটিং করেন, তা বামপন্থীদের নিয়ে।
এবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে একাধিকবার বাধার মুখে পড়েন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। সেই নন্দীগ্রামেই সম্মেলন ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে বামেরা।