কলকাতা: রাতের অন্ধকারে ভেঙে পড়ল বড়বাজারে বাবুলাল লেনে পুরনো বাড়ির একাংশ। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন এক বৃদ্ধা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৩টে নাগাদ ভেঙে পড়ে বাড়িটির পরিত্যক্ত অংশ। বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়েন প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় ১ ঘণ্টায় চেষ্টায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় বৃদ্ধাকে। তিনি কোনও আঘাত পাননি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
কিছুদিন আগেই কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকার বৈশালীতে বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ি। সে সময়ে বাড়িতে কেউ না থাকায় রক্ষা পান বাসিন্দারা। ফরেন্সিক দলের অনুমান, ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশনের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। সকালের ব্যস্ত সময় আচমকা বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ। ভেঙে পড়ে বাড়ি। উড়ে যায় একতলা বাড়ির অ্যাসবেসটসের চাল। পাঁচিল ভেঙে হেলে পড়ল পাশের বাড়ির দেওয়ালে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ট্যাংরা থানা এলাকার বৈশালীতে একটি বাড়িতে এভাবেই বিস্ফোরণ ঘটে। অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের ৫টি বাড়ি। বাড়ির কেউ ঘটনার সময় না থাকায় তাঁরা রক্ষা পান। বাড়ির মালিকের দাবি, গ্যাস লিন্ডারেবিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। বাড়ির মালিক নিমাই দাস বলেছেন, বিস্ফোরণের সময় কেউ বাড়িতে ছিল না। আমি রান্না বসিয়ে বাইরে গেছিলাম। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে।
জনবসতি এলাকায় এই বিস্ফোরণের জেরে আতঙ্ক ছড়ায়। প্রতিবেশীরা জানান, বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে পুলিশ যখন আসে, তখন দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডার সম্পূর্ণ অক্ষত। ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক টিমও। ফরেন্সিক আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান,পরীক্ষা করে দেখলাম, গ্যাস সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি হয়নি। যেটা হয়েছে তাকে বলে ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশন। সিলিন্ডারের রেগুলেটরে সমস্যা ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশন হল, যখন প্রচুর দাহ্য বাস্প বা পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে। তখন বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বিস্ফোরণের অভিঘাতের প্রভাব পড়তে পারে অনেক দূর পর্যন্ত। ট্যাংরায় এই ঘটনাই ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে ফরেন্সিক বিভাগের চূড়ান্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।