ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর (পূর্ব মেদিনীপুর) :

  পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) পটাশপুরে (Patashpur) তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) গুলি (Shot at)। ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় বহুদিন ধরে সন্ত্রাস চালানোর ছক কষছে বিজেপি। অভিযোগ, গতকাল রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি তপন প্রধানকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কোমরে গুলি লাগে তৃণমূল নেতার। বর্তমানে তিনি এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গুলির আওয়াজে স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। পালানোর সময় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায় এক দুষ্কৃতী। তাকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি নাইন এম এম পিস্তল ও একটি ওয়ান শটার। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


উল্লেখ্য, গত মাসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন শাসক নেতা। বন্দুকের বাঁটের উপর্যুপরি আঘাতে মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। 


গত বছরের ডিসেম্বরে রাতে উত্তর কুসুমের যুব তৃণমূল নেতা সুজাউদ্দিন গাজিকে গুলি করা হয়। দুটি বাইকে চড়ে এসে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় ৩-৪ জন দুষ্কৃতী। যুব তৃণমূল নেতার পেটে, পিঠে, গায়ে গুলি। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধ নেতার পরিবারের অভিযোগ, যুব তৃণমূল নেতাকে মাস চারেক আগে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূলের মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তার জেরেই হামলা বলেই বলে অভিযোগ। ষড়যন্ত্রের জন্য মিথ্যা অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি করেছিলেন বিধায়ক। গোটা ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের বলে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি (BJP)।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো আক্রোশের কারণেই হামলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। সব মিলিয়ে তুঙ্গে ওঠে তরজা।