বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ছাত্র-বিক্ষোভে উত্তেজনা। মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে শোকজের প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। একাধিক মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। 


নন্দকুমারের কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে মিড ডে কারচুপির অভিযোগে আগেই বিডিওর নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে বিদ্যালয় পরিদর্শক। আর তার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবকদের। এমনকি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকটি মোটবাইকে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত ছাত্র ছাত্রীরা। ঘটনাস্থলে নন্দকুমার থানার পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, প্রধান শিক্ষক নয়, এই কারচুপির জন্য দায়ি এক অশিক্ষক কর্মী সুকদেব মাইতি। তাকে শাস্তি দিতে হবে। এমনকি ওই অশিক্ষক কর্মীর পরিবার এসে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ। তবে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক কিংবা ওই অশিক্ষক কর্মীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


স্কুলের সামনে জ্বলছে একের পর এক মোটরবাইক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি। পাল্টা লাঠিচার্জ। স্কুল প্রাঙ্গনেই ঝরল রক্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ল পড়ুয়া। 
মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে, অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার। 


দীর্ঘ দিন ধরেই মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ উঠছিল শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে। অভিযোগ, ৫০ জন পড়ুয়া মিড ডে মিল খেলেও, স্কুলের পোর্টালে সংখ্যাটা দেখানো হয়েছে ৩৫০। অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার জন্য, জেলার স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন বিডিও। 


এরই প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাতে সামিল হন কয়েকজন অভিভাবকও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের সামনে রাখা কয়েকটি মোটরবাইকে। 


এক অভিভাবকের কথায়, অশিক্ষক কর্মচারী শুকদেব মাইতি, তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।


পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। গ্রামের অলিগলিতে ঢুকে লাঠি চালায় পুলিশ। এদিনের ঘটনার জন্য একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক অশিক্ষক কর্মী।


নন্দকুমার শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলের অশিক্ষক কর্মী শুকদেব মাইতির কথায়, আমি আটকে ছিলাম বলে, আমার দুই মেয়ে আসে। আজকের যা ঘটনা ঘটেছে, তা প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনেই হয়েছে।