পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা:  পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে সিপিএম কর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী। বাম কর্মী, সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলনেতার বার্তা ২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যকে তৃণমূল-মুক্ত করুন। তারপর অন্য ভাবনা। 


শুভেন্দু বলেছেন, "সিপিএমের সকলে খারাপ নন।২০২৩ সাল অনেক বাকি আছে। তার আগে আসুন আপনারা একসঙ্গে এই জেহাদি তৃণমূলকে নির্মূল করি"।


 ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে খেজুরিতে পালিত হচ্ছে হার্মাদ মুক্তি দিবস। এদিন খেজুরির কুলঠা থেকে বাঁশগোড়া পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর পথসভাও করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির অভিযোগ, সভা থেকে ফেরার পথে, তাদের কর্মী, সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। প্রতিবাদে খেজুরি-হেড়িয়া রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। এই নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। অন্যদিকে, এবার খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবসে পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। বিকেলে শাসকদলের তরফেও পদযাত্রা ও সভা হওয়ার কথা। উপস্থিত থাকার কথা দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরির।


উল্লেখ্য,  প্রথমবার হার্মাদ মুক্তি দিবস পালন বিজেপির। গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার আগে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই খেজুরিতে হার্মাদ মুক্তি দিবস পালন করেছিলেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক ব্যানারে এই দিবস পালন করেছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর ভাষণে উঠে এসেছিল নন্দীগ্রাম জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। 


সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল ও বিজেপির সেটিংয়ের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর বলেছেন, উভয় দল একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কৌশলী খেলা খেলছে। তিনি আরও বলেছেন, এখন তো উঠে এসেছে যে, নন্দীগ্রামে অশান্তি ছড়িয়েছিল অধিকারী পরিবার ও তৃণমূল।  আসলে তাঁরা সবাই মিলে নাটক করেছেন। 


তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেছেন, শুভেন্দুর কথা বিজেপিতেই অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছে। তাঁর  বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য বাংলার মানুষ ভালোভাব নেবেন না।