বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে বছর চারেক আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা রাস্তা তৈরির সময় ভাঙা হয়েছিল সেতু, প্রতিশ্রুতি ছিল রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হলে গড়ে তোলা হবে পাকা সেতু। কিন্তু সেই পাকা সেতু আর হয়নি, যাতায়াতের জন্য পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি হলেও তা ভেঙে পড়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন দুই পারের কয়েক হাজার বাসিন্দা। আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে জেলা পরিষদ।
নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে রয়েছে আমদাবাদ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে সাঁইবাড়ি ও কৃষ্ণনগর এলাকার যোগাযোগের জন্য ছিল একটি ঢালাই ব্রিজ। বছর চারেক আগে বয়াল- আমদাবাদ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরির ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়। সেই সময় যাতায়াতের জন্য কৃষ্ণনগর খালের উপর বাঁশের সেতু তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটিও এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই সেতু স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য নির্মাণসামগ্রীও এসেছিল। কিন্তু পরে আর কাজ এগোয়নি। তখন স্থানীয় পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেটি দিয়েই বাসিন্দারা যাতায়াত করতেন। কিন্তু দীর্ঘ ব্যবহারের কারণে বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। যার ফলে বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে সাইকেল আরোহী-অনেকেই বহুবার বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। কয়েকদিন আগে সেই সাঁকোটিকে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেতু তৈরি না হওয়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কাঠগড়ায় তুলেছেন শাসক দলকে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, 'নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারের ফলে এখানে কোনও রকম উন্নয়ন হচ্ছে না।'
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কটাক্ষ করেছে শাসকদল। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের আশ্বাস, দ্রুত পাকা সেতু গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: দশচাকা লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাসের, নিহত দুই যাত্রী