অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগে শিয়ালদায় (Sealdah) ৫ প্ল্যাটফর্মের কাজ শেষ করল রেল। কিন্তু এখনও কাটল না যাত্রী দুর্ভোগ। রেল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, যার জন্য পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
কখন স্বাভাবিক পরিষেবা?
পূর্ব রেল (Eastern Railway) সূত্রে খবর, এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করা গিয়েছে কাজ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও, বেলা ১২টার মধ্যে কাজ শেষ করা গিয়েছে। দুপুর ১টা থেকে সংশ্লিষ্ট ৫ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকছে। ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে আশ্বাস রেলের। শিয়ালদা মেন শাখায় বেশ কিছু ট্রেন এখনও দেরিতে চলছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শিয়ালদা স্টেশনে চরমে ওঠে যাত্রী দুর্ভোগ। স্টেশনেই রাত কেটেছে অসংখ্য যাত্রীর। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। রেলের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে হয় বিক্ষোভ। ভাঙে শিয়ালদা স্টেশনের অনুসন্ধান অফিসের কাচ। পূর্ব রেলের দাবি অনুযায়ী ২ ঘণ্টা আগে কাজ শেষ হলেও ৬০ ঘণ্টার ও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হল সাধারণ মানুষকে। কাজ শেষের পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও স্বাভাবিক হতে লাগবে আরও কয়েক ঘণ্টা।
১২ কামরার ট্রেন ঢোকা বেরনোর উপযোগী করার জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিয়ালদা স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। সপ্তাহের শেষে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্য়যাত্রীরা। বহু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়, সংক্ষিপ্ত করা হয় বহু ট্রেনের যাত্রাপথ। প্রভাব পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলেও। গন্তব্যে যাওয়ার ট্রেন না পেয়ে, অনেককেই বাধ্য হয়ে রাত কাটাতে হয় প্ল্যাটফর্মে। রেলের বিরুদ্ধে অব্য়বস্থার অভিযোগ তুলে ভাঙচুরও করেন উত্তেজিত যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। সব লোকাল ট্রেন শিয়ালদা পর্যন্ত না আসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার নিত্যযাত্রীকে। জুলাইয়ের শুরুতেই শিয়ালদার প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১২ বগির ট্রেন ঢুকতে ও বেরোতে পারবে বলে আশা করছেন রেলের কর্তারা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Nadia News: কলেজ চত্বরে ছাত্রদের সঙ্গে হাতহাতি, মাথা ফাটল অধ্যাপকের