প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : চিটফান্ড তদন্তে রাজ্যে ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মঙ্গলবার থেকেই প্রয়াগ গোষ্ঠীর ডিরেক্টরদের ফ্ল্যাট, জোকার হোটেল-কাম রেস্তোরাঁ-সহ ৩ জায়গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে ইডি। আর্থিক তছরুপ থেকে আমানতকারীদের টাকা নয়ছয়-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে প্রয়াগ গোষ্ঠীর ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে। চিটফান্ড মামলায় কি জড়িয়ে আছে কোনও বড় নাম ? প্রভাবশালী-যোগ খুঁজতে এবার ইডি গ্রেফতার করল প্রয়াগ গোষ্ঠীর ডিরেক্টর বাবা-ছেলেকে।


মঙ্গলবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে নিউ আলিপুরের ফ্ল্যাট থেকে বাবা বাসুদেব বাগচী ও মুম্বই থেকে ছেলে অভীক বাগচীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভীককে বুধবারই নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। ১৯৯৭ সালে দিল্লি থেকে ব্যবসা শুরু করে প্রয়াগ গোষ্ঠী। ইডি-র দাবি, এই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা তুলেছে।  এর মধ্যে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি প্রয়াগ গোষ্ঠী।


আরও পড়ুন :


রাত বাড়তে পরিস্থিতির অবনতি, প্রতিবাদী সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর 'হামলা' জামাত নেতা-কর্মীদের


গত জুলাই মাসে প্রয়াগ চিটফান্ড মামলার তদন্তে নতুন ECIR করে ইডি। এরপর মঙ্গলবার একযোগে কলকাতা ও মুম্বইয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রয়াগ গোষ্ঠীর কোথায়, কত সম্পত্তি রয়েছে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ইডি খতিয় দেখছে এই বিষয়ে কোনও প্রভাবশালী-যোগ আছে কি না। প্রভাবশালীদের কাছে কত টাকা, কীভাবে পৌঁছেছে তা জানতেই এবার বাবা-ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় ইডি।  


এর আগে ২০১৭-র ১৫ মার্চ, চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গোষ্ঠীর ডিরেক্টর বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে তলব করা হয় সংস্থার মালিক বাসুদেব বাগচি ও তাঁর ছেলে অভীক বাগচিকে।  তাদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। তখন সিবিআই দাবি করেছিল,  সদুত্তর না মেলায় গ্রেফতার করা হয় সংস্থার চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অভীক বাগচি ও তাঁর বাবা বাসুদেব বাগচিকে। সংস্থার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান ছিল, বাজার থেকে প্রায় ২৮৬২ কোটি টাকা তুলেছে ওই সংস্থা। সংস্থার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।