কলকাতা : ৩টি ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে স্ত্রী ও মেয়েকে বসাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই ( Jyotipriya Mallik ) । প্রথমে সরাসরি তা অস্বীকার করলেও, স্ত্রী-মেয়ের মুখোমুখি জেরায় ও তাঁদের বয়ান সামনে রেখে প্রশ্ন করা হলে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ED-র আইনজীবী!
রেশন দুর্নীতির মামলায় জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড,
গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড এই ৩টি সংস্থার হদিশ পাওয়া যায়। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই, একাধিক ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, বাড়িতে তল্লাশির সময়, এই কোম্পানিগুলোর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন মন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ে। যদিও, রবিবার আদালতে ED-র আইনজীবী বলেন, ৩ ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদে স্ত্রী ও মেয়েকে বসাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩টি কোম্পানি খোলা হয়েছিল।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে আরও দাবি, জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, ২০১৬ সালে আয়কর দফতরের ডিসক্লোজার স্কিমে ওই টাকা ডিসক্লোজ করে আয়কর জমা দিয়েছেন। কিন্তু ED-র দাবি, নিয়ম অনুযায়ী এভাবে ঋণের টাকা আয়কর দফতরের ডিসক্লোজার স্কিমে দেখানো যায় না। ED-র অনুমান, এই ডিসক্লোজার স্কিমের আড়ালেই বাকিবুরের থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করেছেন মন্ত্রী। বিষয়টি জানতে এবার আয়কর দফতরের কাছ থেকে তথ্য চাইবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। খবর সূত্রের।
শনিবার, রেশন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে আদালতে পেশ করে ED দাবি করেছিল, সুদ ও সিকিউরিটি ছাড়াই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়েকে ৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তরফে, জ্যোতিপ্রিয়কে জিগ্যেস করা হলে তিনি জবাব দেন, ' ছেড়ে দিন। গল্প ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিন।'
১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্য়াঙ্কশাল আদালত। এদিনও জামিনের আবেদন জানাননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী।
আরও পড়ুন :