প্রকাশ সিনহা, আশাবুল হোসেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়: মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এবং তাঁর পরিবারের নামে ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। চার্জশিটে এমনই তথ্য় জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অন্য় দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের পর, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Case) জেলবন্দি মানিক এবং তাঁর পরিবারের হদিশ পাওয়া গেছে ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিকের এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে পাওয়া প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করল ED।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, মঙ্গলবার রাত থেকে জেলে গিয়ে মানিককে লাগাতার জেরা করেছে সিবিআই। আর তার পরই মানিকের সম্পত্তি নিয়ে ED-র চার্জশিটেও সামনে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য়। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, জেরায় ৬১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে মাত্র ২৫টির কথা স্বীকার করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।


আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya: নজরে শিক্ষকদের পোস্টিং-দুর্নীতি, মানিককে একের পর এক প্রশ্ন সিবিআইয়ের

ED-র চার্জশিট অনুযায়ী, মানিকের ছেলে সৌভিকের ৩২টি কোম্পানিতে ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে পরিবারের বাইরের লোকের ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলির তথ্য জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে লুকিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ED-র চার্জশিটে। 

কীভাবে টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে, তাও একটি ফ্লো-চার্ট করে চার্জশিটে দেখিয়েছে ED. এর আগে মে মাসে আদালতেও ইডি দাবি করেছিল যে, ২০১৪ সালের টেট-এ ৩২৫ জনকে পাস করিয়ে দিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক। তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও তখন দাবি করেছিল ED. সেদিন কলকাতা হাইকোর্ট মন্তব্য় করেছিল, রাজ্য় সরকার চাইলে, মানিকের থেকে টাকা নিয়ে, শূন্য়পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে পারে।


বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুর আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে আরও একটি FIR দায়ের করেছে CBI. FIR-এ মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জাল নথি তৈরি, জাল নথিকে আসল দেখিয়ে ব্যবহার, প্রতারণার জন্য জাল নথি ব্যবহার
এবং দুর্নীতি দমন আইনের ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মানিকের পাশাপাশি, ৯৯ পাতার FIR-এ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের উল্লেখ রয়েছে।