প্রকাশ সিনহা, কলকাতা :  টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের নেপথ্যে কোন রহস্য লুকিয়ে, তার হদিশ কী রয়েছে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৩টি ডায়েরিতে? এই নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।


ডায়েরিতে কী কী তথ্য মিলেছে ? 
ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যে ২টি ডায়েরিতে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ইডি সূত্রে দাবি, বিপুল পরিমাণ টাকা আসা-যাওয়ার হিসেব লেখা রয়েছে ডায়েরিতে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শুধু টাকা আসত না, টাকা যেত নির্দিষ্ট লোকের কাছে। টাকা-বাহকদের নাম, ফোন নম্বর-সহ সমস্ত তথ্য রয়েছে ডায়েরিতে, ইডি সূত্রে দাবি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৩টি ডায়েরিতে হাতের লেখা কার, আপাতত এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রয়োজনে নেওয়া হতে পারে হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য, খবর সূত্রের।  ইডির দাবি, ডায়েরির ৪০টি পাতা অনেক কিছু লেখা রয়েছে। এখন সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন কালো ডায়েরি
কোথা থেকে এল এত টাকা? এই কুবেরের ধন কি আসলে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি অন্যদের মোটা দরে বিক্রি করে দেওয়ার টাকা? আর নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য কি লুকিয়ে রয়েছে কালো ডায়েরিতে? ইডির সিজার লিস্টে দাবি করা হয়, এই কালো ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে। কালো রঙের সেই ডায়েরির ওপর লেখা- Department of Higher Education & School Education, Govt of West Bengal. ডায়েরির ৪০টি পাতায় লেখা রয়েছে। SSC দুর্নীতিতে সমস্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন কালো ডায়েরি!! উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন!


উদ্ধার হওয়া কালো ডায়েরি কি সরকারি? কেন কালো ডায়েরির ওপরে লেখা উচ্চশিক্ষা ও স্কুলশিক্ষা দফতর? কালো ডায়েরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে এল কী করে? ইডির সিজার লিস্টে আরও দাবি করা হয়, কালো ডায়েরি ছাড়া আরও একটি এক্সিকিউটিভ ডায়েরি এবং একটি পকেট ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। সব মিলিয়ে এখন আলোচনার শিরোনামে কালো ডায়েরি। কিন্তু সেই ডায়েরির পাতায় যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা কী ইডিকে রহস্য উন্মোচনা সঠিক পথই দেখাবে ?