কলকাতা: ফ্ল্যাট-প্রতারণাকাণ্ডে আজ নুসরত জাহানকে তলব করেছে ইডি (ED)। অভিযোগ ওঠে, ২০১৪-১৫ সালে রাজারহাটে জমি কিনে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা, ৪২৯ জনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে অগ্রিম নেয়। মোট অঙ্ক দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। ৯ বছরে বিনিয়োগকারীরা কেউ ফ্ল্যাট না পেলেও, সেই টাকায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে ফ্ল্য়াট কেনেন বলে অভিযোগ। 


পাম অ্যাভিনিউয়ে ইডেন ইম্পিরিয়াল আবাসনে রয়েছে নুসরতের আড়াই হাজার স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট। সাংবাদিক বৈঠক করে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে নুসরত দাবি করেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের লোন নেওয়ার এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিং। গতকাল ইডি-র তলবে হাজিরা দেননি রাকেশ। উল্টে সময় চেয়েছেন। শেষ অবধি পাওয়া খবরে,  ইতিমধ্য়েই বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছেন নুসরত।


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পুর নিয়োগে দুর্নীতি, কয়লা পাচার থেকে গরুপাচার মামলায়, একের পর এক দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল।  রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, এমনকি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল, শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট বর্তমানে জেলে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের গায়েও লাগল দুর্নীতির দাগ। ২০১৯ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণের দিন, গোটা দেশের নজর কেড়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত। চার বছরের মাথায় দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় জুড়ে যায় তাঁর নামও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে তলব করে ED. 


জল্পনা ছিলই। তৈরি হয়েছিল বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোরও।  সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সাফাইও দিয়েছিলেন নুসরত। সেই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। তারই মধ্যে রাজারহাটে ফ্ল্যাট বিক্রিতে প্রতারণার অভিযোগের ঘটনায় নুসরতকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তবে শুধু নুসরতই নন, 'সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড' নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তলব করা হয়েছে সেই সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও।  


আরও পড়ুন, টোটোকে পেছন থেকে ধাক্কা লরির, ঘটনাস্থলে মৃত্যু ৩ সবজি বিক্রেতার

মূলত বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল ২০১৪-২০১৫ সালের দিকে। রাজারহাটে জমি কিনে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য 'সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি সংস্থা, ৪২৯ জনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে অগ্রিম নেয়। মোট অঙ্ক দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। কিন্তু গত ন'বছরেও কেউ ফ্ল্যাট পাননি বলে অভিযোগ।