সত্যজিৎ বৈদ্য , কলকাতা : কলকাতায় ফের ইডির ( ED ) হানা। স্বাস্থ্য দফতরে ( Health Department ) টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে, কসবায় বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায় নামে একজনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল ইডি।


বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ সেখানে যান ইডি আধিকারিকরা। রাতেও চলে তল্লাশি। বেঙ্গালুরুর সংস্থা, প্রগনসিস মেডিকেল সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড, বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা ও আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। স্বাস্থ্য দফতরে তিনটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে বুধাদিত্য দফায় দফায় ২৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওই সংস্থার।

আরও পড়ুন :


শহরে বাড়ল তাপমাত্রা, কদ্দিন আর থাকবে আমেজ?


শুধু তাই নয়, ভুয়ো নথি তৈরি, IAS অফিসারের সই নকল ও স্বাস্থ্য দফতরের সিল জাল করে তিনি প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গেও ৯ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে, শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বুধাদিত্যর বিরুদ্ধে। সেই FIR-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। তদন্তে স্থগিতাদেশ না দিলেও, তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার সেই মামলায় তদন্তভার নিয়ে হানা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

কিছুদিন আগে কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকায় ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়। কয়লা পাচারকাণ্ডে বালিগঞ্জে নির্মাণকারী সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে তারা। গজরাজ গ্রুপের অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নগদ ছাড়াও হার্ড ডিস্ক, কম্পিউটার, অ্যাকাউন্টের নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি-র অফিসাররা। এই ঘটনায় নাম জড়ায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের। তারপর তিনি দিল্লির ইডি অফিসে দুবার হাজিরা দেন।  ইডি সূত্রে খবর, জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি ইডি, তাই মনজিতকে দুবার তলব। ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাওয়া হবে, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার উৎস কী? এগুলি কি কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা? সেই টাকা দিয়ে কী আর কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে?      

জানুয়ারির একেবার শেষেও শহরে একবার তল্লাশি চালায় ইডি। ট্যাংরা, হেস্টিংস ও আলিপুর ছাড়াও আনন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসনে চলে তল্লাশি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিল ২ বেসরকারি সংস্থার লেনদেন। ব্যাঙ্ক প্রতারণা ও কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। SREI ও আদিশ্রী ইনভেস্টমেন্ট নামের ওই দুই সংস্থার একাধিক আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে ইডি।