প্রকাশ সিনহা ও আবির দত্ত, কলকাতা: সকাল থেকে শহরে ফের হানা ইডি-র (ED Raid In Recruitment Scam)। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিযান। 'মিডলম্যান' প্রসন্ন রায়ের মোট ৬টি ঠিকানায় ইডি-র অভিযান, নিউটাউনের আবাসনে প্রসন্ন রায়ের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান ইডি-র।
এখনও পর্যন্ত যা যা ঘটল...
রণসাজে সজ্জিত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সকাল সকাল নিউটাউনের বলাকা আবাসনে প্রসন্ন রায়ের দুটি ফ্ল্যাটে, আইডিয়াল টাওয়ারে প্রসন্নর আরেকটি ফ্ল্যাট এবং নিউটাউনের অফিসে পৌঁছে যান ED-র আধিকারিকরা। মুকুন্দপুরের নয়াবাদের একতা আবাসনেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ২০২২-এর ২৭ অগাস্ট, নিউটাউনের একটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার হন এই প্রসন্ন রায়। CBI দাবি করে, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্ন ছিলেন মিডলম্যান। তাঁর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে। CBI-এর দাবি, প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে সাড়ে চারশোটি সম্পত্তি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই এই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে CBI দাবি করে। এর মধ্যেই গত বছরের ১০ নভেম্বর, নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান 'মিডলম্যান' প্রসন্ন রায়।
প্রেক্ষাপট...
প্রায় আধ ঘণ্টা প্রসন্ন রায়ের অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পরও সেখানে ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কেয়ারটেকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি চাবি নিয়ে এলে তল্লাশি চালানোর কথা। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতর এসএসসি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। এদিন সেই মামলার তদন্তেই এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। দুর্নীতিতে প্রসন্ন রায়ের ভূমিকা কী ছিল, সেটি খতিয়ে দেখে সিবিআই। কিন্তু ইডি আধিকারিকরা মূলত টাকার লেনদেন কী হয়েছে, সেটি দেখছে চায় ইডি। সাড়ে চারশোটি সম্পত্তির উৎস কী, সেটিই খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। সেই জন্য বাকি জায়গার পাশাপাশি নিউটাউনের বলাকা আবাসনেও পৌঁছে যায় ইডি। কিন্তু সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, ৬-৭ বছর আগে সেখানে থাকতেন প্রসন্ন রায়। তার পর আর তিনি আসেন না, জানতে পেরেছেন ইডি-র আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের তরফে মামলায় যে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তাতেও নাম ছিল প্রসন্ন রায়ের।
প্রসঙ্গত, দিনতিনেক আগে, ভোরবেলা থেকেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযান চালায় ED। কলকাতার চারটি জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিসে হানা দেন ED-র আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শঙ্কর আঢ্যর ফোরেক্স কোম্পানির মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কালো টাকাও সাদা করা হয়েছে শঙ্করের কোম্পানির মাধ্যমে।