কলকাতা: মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি মামলায়, মুম্বইয়ের পাশাপাশি, কলকাতাতেও চলল ED-র তল্লাশি অভিযান। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি অফিসে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিযোগ, এই অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হত। 


লালবাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে সাত সকালে ED-র হানা। একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে অভিযান চালালেন দিল্লি থেকে আসা ED-র ৪ অফিসার। কিন্তু কী কারণে এই অভিযান? সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি। 


চিনিকল দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা NCP নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সংস্থা খুলে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ED সূত্রে দাবি, ৭৮ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের এই বিল্ডিংয়েও ছিল একটি ভুয়ো অফিস।


যেখান থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হত। দিল্লির ৪টি অফিসার আসে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে--এই অফিসে...তথ্য তল্লাশি। ভিতরে অভিয়ান চলছে। ওপরের বিল্ডিংয়েও ২টি রুমে তল্লাশি চালাচ্ছে। 


কিন্তু ED সূত্রে খবর, যে ভুয়ো সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থা পাত্তাড়ি গুটিয়ে এখান থেকে চলে গেছে । বর্তমানে নতুন একটি সংস্থা এই অফিস ভা়ড়া নিয়েছে। এই দুই সংস্থার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। বছর ২-এক আগে অন্য় কোম্পানি আসে, সেই কোম্পানির কর্মী-ম্য়ানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন, মহারাষ্ট্রের চিনিকল দুর্নীতি মামলায়, কলকাতার পাশাপাশি, মুম্বইয়ের ৪ জায়গায় অফিযান চালায় ED।


টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ: অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সরব হল তৃণমূল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধান ও সদস্যরা। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। 


ফের টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ!পূর্ব মেদিনীপুরের রাঙামাটি শ্মশানে টেন্ডার দুর্নীতি মামলার য়খন তদন্ত করছে সিবিআই, তখন টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই সরব হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সরব হলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ,


ই-টেন্ডার না করে ম্যানুয়াল টেন্ডার করে নিজের লোকেদের টেন্ডার পাইয়ে দেন প্রধান গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। টেন্ডার ডাকা হলেও অনেক প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় উপ প্রধানকে প্রধানের হুমকির মুখেও পড়তে হয়।