কলকাতা : ২০১৪-র পর এবার ED-র স্ক্যানারে ২০১২-র TET-ও। মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে ( Manik Bhattacharya )  আদালতে পেশ করে রিমান্ড লেটারে ED-র তরফে দাবি করা হয়েছে, ধৃত কুন্তল ঘোষের ( Kuntal Ghosh  ) বয়ান থেকে জানা গেছে যে, ২০১২ এবং ২০১৪-র TET-এ বহু অযোগ্য প্রার্থীকে পাস করিয়ে দিয়ে, তাঁদের থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। গোটা বিষয়টা জানতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।


'নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটির সম্পত্তির মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর পরিবার ও সংস্থার নামে থাকা ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আদালতে রিমান্ড রিপোর্টে দাবি করল ইডি। 


আদালতে রিমান্ড রিপোর্টে ED দাবি করেছে, 'ডিএলএড-এ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩ দফায় ২০ কোটি টাকার বেশি যায় মানিকের কাছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৩ দফায় ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেন মানিক, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে লোক পাঠিয়ে টাকা নেন মানিক ভট্টাচার্য। এমনটাই  দাবি ইডির। এর পাশাপাশি, ED-র আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কার্যত বিশ্বভ্রমণ করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি। মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়েই এই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য।     


ED-র পাল্টা মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী বলেন, ২০১৪-র TET-এর বিষয়টা ED-র তদন্ত করার কথা।  সেই মামলায় মানিক ভট্টাচার্য হেফাজতে রয়েছেন। এখন তারা TET ২০১২-র কথা বলছেন। যেটা সবে সামনে এসেছে। ED বলছে কুন্তল এবং অয়ন ২০১২-র TET-এর পরীক্ষার্থীদের বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছেন। ED বলছে, যেহেতু অয়ন শীল গ্রেফতার হয়েছেন এবং নতুন তথ্য এসেছে তাই নাকি মানিক ভট্টাচার্যর জামিন অনুমোদন হওয়া উচিত নয়। সেটা কীভাবে?