নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অপসারণ চেয়ে পোস্টার। দিল্লিতে ব্যাপক ধরপাকড় পুলিশের। মঙ্গলবার তল্লাশি চালিয়ে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। এঁদের মধ্যে দু'জনের একটি ছাপাখানা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Delhi Police)। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় ১০০টি মামলা দায়ের করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে প্রায় ২ হাজার পোস্টার ছাপানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে (Anti Modi Posters)।
২ হাজার এমন পোস্টার খুলে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মোদির অপসারণ চেয়ে প্রায় ২ হাজার পোস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাজধানীতে। 'মোদি বিরোধী' ওই পোস্টারের বার্তা ছিল, 'মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও'। রাজধানী দিল্লির ইতিউতি এমন পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং আরও পোস্টার ছাপানো হচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর এসে পৌঁছতেই ধরপাকড়ে নামে দিল্লি পুলিশ। শুধু তাই নয়, দিল্লি পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই সব পোস্টার তুলে নেওয়া হয় বলেও খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ হাজার এমন পোস্টার খুলে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। আরও ২ হাজার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, তল্লাশিতে নেমে দিল্লি পুলিশ প্রায় ২ হাজার এমন পোস্টার বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে, আইপি এস্টেট এলাকায় একটি ভ্যানের মধ্যে থেকে ওই ২ হাজার পোস্টার উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির দফতরে ওই পোস্টারগুলি সরবরাহ করা হচ্ছিল। ভ্য়ানের চালকও আপ-এর সদর দফতরে পোস্টার সরবরাহ করার বরাত মিলেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। সোমবারও এমন পোস্টারের তাড়া আপ-এর দফতরে এমন পোস্টার পৌঁছে দিয়েছেন বলেও নাকি জানিয়েছেন ভ্যানের চালক।
এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত আপ-এর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দাবি, ধৃত ছাপাখানার মালিকরা জানিয়েছেন, মোট ৫০ হাজার পোস্টার ছাপানোর বরাত পেয়েছিলেন, যাতে বার্তা ছিল, 'মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও'। আপ-এর অফিসে ওই ভ্যানের আনাগোনার উপর পুলিশের নজরদারি চলছিল বলেও জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আপত্তিজনক পোস্টার ছাপানো হয়েছিল, দাবি পুলিশের
ছাপাখানা এবং সম্পদের বিকৃতিসাধন আইনে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। স্পেশাল সিপি দীপেন্দ্র পাঠক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১০০ এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ছ'জনে। প্রধানমন্ত্রী আপত্তিজনক পোস্টার ছাপানো হয়েছিল। পোস্টারে ছাপাখানা সম্পর্কে কোনও তথ্য় ছিল না। নির্ধারিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।