কলকাতা: ১ হাজার কোটি টাকার কল সেন্টার প্রতারণা মামলায় চার্জশিট জমা দিল ED। চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রতারণা চক্রের কিংপিন কুণাল গুপ্ত এবং তাঁর ৮টি কোম্পানির। ED-র দাবি, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে চলত আন্তর্জাতিক কল সেন্টার প্রতারণার কারবার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কুণাল গুপ্তর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। ED-র দাবি, কলকাতা, গোয়া-সহ দেশের নানা জায়গায় কুণালের হোটেল, ফ্ল্য়াট, বাড়ি ও রিসর্ট রয়েছে। ED-র দাবি, প্রতারণার কারবার চালাতে মাস্টারমাইন্ড কুণাল গুপ্ত প্রোটেকশন মানি দিতেন। সেই টাকা কাদের কাছে পৌঁছত, এবার সেটাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইতিমধ্যেই খারিজ হয়েছে কুণালের জামিনের আবেদন।


রেসের মাঠে ঘোড়া ছুটিয়ে, হতে চেয়েছিলেন লম্বা রেসের ঘোড়া। কিন্তু ক্রমেই আরও বিপাকে পড়ছেন, আন্তর্জাতিক কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের (International Call Centre Fraud) মাস্টারমাইন্ড বলে আগেই অভিযুক্তের তকমা যায় কুণাল গুপ্তের ওপর। তাঁর বিরুদ্ধে রেসের মাঠে প্রতারণার টাকা খাটানোর মতো বিস্ফোরক অভিযোগও তুলেছিল ইডি (ED)।


১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, সারা দেশে যেখানে যত রেসকোর্স আছে, সেখানে ঘোড়া কিনেছিলেন কুণাল গুপ্ত। ইডি সূত্রের দাবি, এক একটি ঘোড়ার দাম ৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। মোট ৩৫ টি ঘোড়া তিনি কিনেছিলেন বলেই আদালতে দাবি করেছে ইডি।  অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী আরও দাবি করেন, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। কলকাতা ও গোয়াতেই শুধু নয়, দুবাইয়েও সম্পত্তি রয়েছে কুণাল গুপ্তের। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে, দুবাইয়ে পালিয়ে যাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ইডির তরফে।


এদিন বিচারককে (Justice) ইডির আইনজীবী বলেন, এমন তথ্য আছে, চমকে উঠবেন। কেস ডায়েরি দেখুন। এরপর তদন্তকারী অফিসার বিচারকের হাতে কেস ডায়েরি তুলে দেন। তা দেখার পরে, কুণাল গুপ্তকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।


এর আগে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার প্রতারণা মামলায় পুলিশ (Police) ও CID-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল গুপ্ত। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এজেন্সি সূত্রের দাবি, ২০০৫-এ কলকাতায় আন্তর্জাতিক কলসেন্টার প্রতারণা চক্রের কারবার শুরু হয় এই ব্যক্তির হাত ধরেই।